Centralised Referral System: স্বাস্থ্য ভবন ফের এই রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কেন্দ্রীয় রেফারেল পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিল। এই পদ্ধতি প্রথম চালু হতে চলেছে ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায়। অবশেষে মান্যতা দিতে হলে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এসএসকেএম-ও এই রেফার হাসপাতালের তালিকায় সংযোজিত করা হয়েছে।
রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন যাবত ১০ দফা দাবিতে অনশন, বিক্ষোভ করছেন। ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবিলম্বে কেন্দ্রীয়ভাবে রেফারেল ব্যবস্থা (Centralised Referral System) চালু করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রেফারেল ব্যবস্থা মানে হলো রোগীকে অন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর পদ্ধতি। অবশেষে মেনে নেওয়া হল সেই দাবি। সোমবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭ দফা দাবি পূরণ করা হচ্ছে শীঘ্রই। রাজ্যজুড়ে এবার যদি কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু হয় তাহলে আরো একটি দাবি পূরণ করতে হবে।
যদি রাজ্যে একবার এই ব্যবস্থা (Centralised Referral System) পুরোপুরি ভাবে কার্যকর হয় তাহলে ডাক্তাররা জানতে পারবেন বিভিন্ন হাসপাতালে কত শয্যা বা বেড খালি রয়েছে। অবিলম্বে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা একান্ত প্রয়োজনীয়। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ‘টাইপ এ’ অর্থাৎ মহকুমা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতালে একাধিক রোগীকে বিভিন্ন সময়ে রেফার করা যাবে। ‘টাইপ বি’ রেফার হাসপাতালগুলি হল জেলা হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলি। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ‘টাইপ এ’ হাসপাতালগুলিতে, প্রয়োজনে ‘টাইপ বি’-তে রেফার করা হবে রোগীদের। যদি রোগীর অবস্থা শোচনীয় হয় তাহলে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সরাসরি ‘টাইপ বি’-তেও রোগীকে রেফার করা যাবে।
আরো পড়ুন: কিভাবে নিয়োগ করা হবে সিভিক পুলিশ, রাজ্যকে এবিষয়ে কি বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট
আরেকটি বিষয়ের উপরও নজর দিতে হবে যে, রোগী প্রথমে যে হাসপাতালে যাবে সেখানে তার সমস্ত প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হয় তাহলেই তাকে রেফার করতে হবে অন্য হাসপাতালে। রেফার রোগীদের দেখার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা কোনরকম গাফিলতি কিংবা দেরি করতে পারবেন না। রেফারের জন্য প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে গ্রহণ করতে হবে। যদি কোনো কারণে বাতিল করা হয় তার জন্য যথোপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে।
যে হাসপাতালে রেফার করা হবে সেখান থেকে যদি আধ ঘন্টার মধ্যে কোনরকম জবাব না আসে সেক্ষেত্রে আবেদন গ্রহণ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। অতীতে রেফার নিয়ে বিভিন্ন রকম সমস্যার কথা সামনে এসেছিল। যদি একবার কেন্দ্রীয়ভাবে রেফারেল ব্যবস্থা (Centralised Referral System) চালু হয় তাহলে সবধরনের সমস্যাই মিটে যাবে এমনটাই আশা করছে বিশেষজ্ঞরা।