নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের অলিতে গলিতে বাড়ছে যানবাহনের (Vehicle) সংখ্যা। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানান ধরনের সুবিধার পাশাপাশি বাড়ছে সমস্যাও। প্রতিনিয়ত পেট্রোল-ডিজেল চালিত যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাড়ছে বায়ু দূষণ। আর এই বায়ু দূষণ নিয়ে আলোচনার শেষ থাকেনা। কিন্তু বায়ু দূষণের পাশাপাশি চুপিসারে বাড়ছে শব্দ দূষণও। যদিও সেই শব্দ দূষণ নিয়ে উৎসবের মরশুম ছাড়া অন্য সময় প্রশাসনকে টু শব্দ করতে পর্যন্ত দেখা যায় না।
বায়ু দূষণের মতো শব্দ দূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনেও কিন্তু রয়েছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ যানবাহন। কেননা লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, প্রয়োজন থাক বা না থাক বিভিন্ন সময় যানবাহনের চালকদের হর্ন বাজাতে দেখা যায়। আর এই সকল হর্নের আওয়াজ কানের পর্দায় আঘাত করে। পরিবেশে বাড়তে থাকে শব্দ দূষণ। এই অবস্থায় কেন্দ্র সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari) শোনালেন নতুন আশার কথা।
রাস্তায় প্রতিদিন যে সকল লক্ষ লক্ষ যানবাহন যাতায়াত করছে সেই সকল যানবাহনের হর্নের আওয়াজ এতটাই তীব্র থাকে যে তাদের ট্যা-টু, প্যা-পু আওয়াজে কানে ঝালাপালা ধরে যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে নীতিন গড়কড়ি জানিয়েছেন, এবার থেকে ভিআইপিদের গাড়িতে আর বাজবে না সাইরেন। পরিবর্তে শোনা যাবে বাঁশি, তবলা অথবা শাঁখের সুরেলা শব্দ। শনিবার পুনেতে আয়োজিত চাঁদনী চকের ফ্লাইওভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষদেরও শব্দ দূষণের হাত থেকে রেহাই দিতে চান তিনি বলে জানিয়েছেন। আর এই কারণেই হর্নের ট্যা-টু, প্যা-পু শব্দের পরিবর্তে ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের স্বস্তিদায়ক সব শব্দ চালু করতে আগ্রহী কেন্দ্র বলে জানিয়েছেন নীতিন গড়কড়ি। এর পাশাপাশি তিনি জানান, তিনি ভাগ্যবান যে ভিআইপিদের গাড়িতে লাল বাতি লাগানো বন্ধ করতে পেরেছেন। এবার তিনি ভিআইপিদের গাড়িতে সাইরেন বাজানো বন্ধ করতে চান।
তিনি আরও জানান, তার মূল লক্ষ্য হলো সাধারণ মানুষ যাতে শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পায় আর তার জন্য তিনি একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এই সকল পদক্ষেপের মধ্যেই নতুন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।