স্বাধীনতা দিবসে পতাকা ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা, মানতে হবে প্রত্যেককে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তারপরেই ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই দিনটিকে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকরাই নিজেদের মতো করে থাকেন। তবে স্বাধীনতা দিবসের দিন যেমন নাগরিকদের মধ্যে দেশপ্রেম লক্ষ্য করা যায়, ঠিক তার পরদিন উল্টো ছবি ধরা পড়ে। অজস্র পতাকা রাস্তাঘাটে জঞ্জালের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবার তিরঙ্গা অবমাননা কেন্দ্রের কঠোর পদক্ষেপ। কেন্দ্রের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যা মেনে চলতে হবে প্রতিটি নাগরিককে।

Advertisements

Advertisements

স্বাধীনতা দিবসের আগেই কেন্দ্রের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্লাস্টিকের তৈরি ছোট জাতীয় পতাকা যাতে ব্যবহার না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে।

Advertisements

স্বাধীনতা দিবসের দিন স্কুলের অনুষ্ঠান থেকে পথচলতি অনেক গাড়িঘোড়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় এই ধরনের প্লাস্টিকের ছোট জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু পরদিন সেই সকল তেরঙ্গার ঠাঁই হয় ডাস্টবিন অথবা জঞ্জালে। এই সকল পতাকা প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ার দরুন তা সহজে নষ্ট হয়ে যায় না। তেরঙ্গার অবমাননার পাশাপাশি পরিবেশের পক্ষেও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় পতাকা হল দেশবাসীর কাছে আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। যে কারণে এর সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া উচিত। দেশের প্রতিটি নাগরিক জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেও জাতীয় পতাকার প্রদর্শন এবং বহন নিয়ে আমজনতা থেকে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকার পরিবর্তে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা।

জাতীয় পতাকা সংক্রান্ত এই সকল একাধিক বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ‘ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া ২০০২’। যেখানে বলা হয়েছে ছোট ছোট পতাকার ক্ষেত্রে যেন কাগজের পতাকা ব্যবহার করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সেই সকল পতাকা যেন ছিঁড়ে দেওয়া অথবা মাটিতে ফেলে দেওয়া না হয়। এই সকল বিষয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রতিটি রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং প্রতিটি নাগরিকের।

Advertisements