নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং সহজ করে তোলার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নির্বাচনের সময়ে ভোটারদের ভূমিকা আরও মজবুত করতে, আরও বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে তুলতে কেন্দ্র সরকার মোট পাঁচটি পরিবর্তন আনছে। এই সকল সংস্কার আনা হচ্ছে মূলত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই।
১) প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করার মত কোন ব্যক্তি ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত এই লিঙ্ক করানো কোন বাধ্যতামূলক নয়। লিঙ্ক করানো বা না করানো, সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে ভোটারদের ইচ্ছের উপর। মূলত সুপ্রিম কোর্টের গোপনীয়তার অধিকার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২) বারংবার ভোটার তালিকা সংস্কার করে মজবুত ভোটার তালিকা তৈরি করার মত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একাধিক পাইলট প্রজেক্টের সুফলতার দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৩) আগামী বছর থেকেই পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা বছরে চারবার ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে যে নিয়ম রয়েছে তাতে বছরে একবার এই সুযোগ পাওয়া যায়। যদিও এই পরিবর্তন কেবলমাত্র প্রস্তাব আকারে রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে এই পরিবর্তন আগামী বছর থেকেই চালু হয়ে যাবে।
৪) লিঙ্গ নিরপেক্ষ একটি আইন আনার ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে সার্ভিস অফিসারের স্বামীও ভোট দেওয়ার অনুমতি পাবেন। বর্তমান নিয়ম অনুসারে কেবলমাত্র একজন সার্ভিস অফিসারের স্ত্রী এই সুবিধা পান।
৫) নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যে কোন জায়গা দখল নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন চলাকালীন স্কুল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়ে একাধিক ক্ষেত্রে এ যাবৎ যে আপত্তি ছিল সেই আপত্তির সমাপ্তি ঘটাতেই এই পদক্ষেপ।