নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লি সীমান্তে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কৃষক আন্দোলন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক জমায়েত করে দীর্ঘ ১২ দিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দফায় দফায় কেন্দ্রের সাথে চলছে বৈঠক। আর সেই সকল বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে না আসায় গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। আর সেই ধর্মঘটের সন্ধ্যাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ডেকে পাঠান কৃষকদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের সাথে কৃষকদের বৈঠকে কিছুটা হলেও সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা বেরিয়ে এলো না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পর কৃষক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে না কেন্দ্র। অর্থাৎ নিজের অবস্থানে অনড় রইলো কেন্দ্র।
যদিও অমিত শাহের সাথে কৃষক সংগঠনগুলির বৈঠকের আগে কৃষক সংগঠনের নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ তে উত্তর দিয়েই সমাধানসূত্র বের করতে হবে। মধ্যবর্তী কোন পন্থা চলবে না।অর্থাৎ কৃষকদের দাবি অনুযায়ী বৈঠকে কৃষি আইন বাতিল করা হচ্ছে অথবা করা হচ্ছে না, এই দুটি উত্তরের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন্দ্রকে। মধ্যবর্তী কোন সংশোধন অথবা নতুন কোন উপায় বের করে সমাধানে রাজি নয় কৃষক সংগঠনগুলি।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত্রি আটটার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রেল তথা বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সোমপ্রকাশের সাথে কৃষক সংগঠনের ১৩ জন নেতার তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। তবে এই তিন ঘণ্টা বৈঠকের পরেও জট কাটেনি। কৃষক সংগঠনের নেতারা বৈঠক শেষে জানিয়ে দেন, ‘কৃষি আইন ফিরিয়ে নিতে রাজি নয় কেন্দ্র।’
আর এর পরেই আগামীদিনের কৃষক আন্দোলনের জট আরও বাড়লো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিমধ্যে কিছু সংগঠনের নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন বুধবার কেন্দ্রের সাথে তাদের যে বৈঠক অর্থাৎ আলোচনার কথা ছিল সেই আলোচনায় তারা আর অংশগ্রহণ করবেন না। কৃষকরা তাদের মনোভাব নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।