নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। এরপর ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে ইসরোর (ISRO) ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram)। সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার পর বিক্রম থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। তারপরই সে সিদ্ধান্ত সূচি অনুযায়ী নিজের কাজ শুরু করে দেয়।
শনিবার পর্যন্ত প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে ১১ দিন তন্ন তন্ন করে বিভিন্ন জিনিসের সন্ধান চালিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনদিন কোন চন্দ্রযান অবতরণ না করার কারণে প্রজ্ঞানের হাতে যা যা এসেছে সবই বিশ্ব বিজ্ঞানীদের কাছে নতুন। ইতিমধ্যেই প্রজ্ঞান নিজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ইসরোকে দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ সম্পদের সন্ধান। চাঁদে অক্সিজেন রয়েছে এমনটা আগে টের পাওয়া গেলেও তা নিশ্চিত করেছে চন্দ্রযান ৩।
১১ দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর শনিবার ইসরোর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রোভার প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরোর তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে, যাবতীয় কাজ খুব সুন্দর ভাবেই শেষ করেছে রোভার। তাদের রোভার এখন চাঁদের মাটিতে সুরক্ষিত রয়েছে। তবে তাকে ঘুম পাড়ানো হয়েছে। দুটি পে লোড আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি পে লোডের মাধ্যমেই সমস্ত তথ্য পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়।
এখন প্রশ্ন হল, রোভার প্রজ্ঞান কি চিরদিনের জন্য চাঁদের মাটিতে ঘুমিয়ে পড়ল, নাকি তাকে ফের জাগানো হবে? এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন চাঁদে রাত অর্থাৎ অন্ধকার নেমে আসায় প্রজ্ঞানকে ঘুমা পাড়ানো হয়েছে। চাঁদে পরবর্তী সূর্যোদয় হবে ২২ সেপ্টেম্বর। সেই সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রজ্ঞান ফের জেগে উঠবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। যদি জেগে না ওঠে তাহলে ভারতের এই চন্দ্রদূত চাঁদের মাটিতে চিরতরে ঘুমিয়ে পড়বে।
Chandrayaan-3 Mission:
The Rover completed its assignments.It is now safely parked and set into Sleep mode.
APXS and LIBS payloads are turned off.
Data from these payloads is transmitted to the Earth via the Lander.Currently, the battery is fully charged.
The solar panel is…— ISRO (@isro) September 2, 2023
তবে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আশা ভারতের চন্দ্রদূত চিরতরে ঘুমিয়ে পড়বেনা। কেননা এখনো প্রজ্ঞানের ব্যাটারীতে পুরো চার্জ রয়েছে। এক্ষেত্রে ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে যদি সূর্যোদয় হয় তাহলে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যাতে আলো পায় সেই ভাবে সোলার প্যানেল রাখা হয়েছে। রিসিভারও চালু করে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি প্রজ্ঞান ফের জেগে ওঠে তাহলে আবার সে নতুন নতুন জিনিস সন্ধানের জন্য মাঠে নেমে পড়বে।