নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে নিম্নচাপের কারণে অতি ভারী বৃষ্টি দেখেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। সেই বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই প্রবল সংকটে দিনযাপন করছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। শুধু নদী তীরবর্তী নয়, পাশাপাশি হাটু জলে বাস করেছে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। আর এরই মাঝে পুনরায় ঘূর্ণাবর্তের চোখ রাঙ্গানি তৈরি হচ্ছে বাংলার উপর।
গত সপ্তাহের নিম্নচাপটি সরে গিয়েছে ঝাড়খন্ড, বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশের দিকে। এই পরিস্থিতিতে মৌসুমী অক্ষরেখার উত্তরবঙ্গের দিকে সরে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই আশঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে আগামী দুদিন উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই অতি ভারী বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাবে। অন্যদিকে আবার একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪ আগস্ট থেকে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তবে এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের নিম্নচাপ তৈরি হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে হিমালয়ের দিকে সরে যাওয়া মৌসুমী অক্ষ রেখার প্রত্যাবর্তন ঘটবে দক্ষিণবঙ্গে।
অন্যদিকে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার এবং বুধবার পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে মঙ্গলবার অথবা বুধবার। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে কলকাতায় তেমন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে ঝাড়খন্ড এবং বিহারের উপর অবস্থান করছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। এই দুই রাজ্যে নিম্নচাপের দরুন আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও। কারণ এই সকল রাজ্যে ভারী বৃষ্টি হলে সেই বৃষ্টির কারণে নদ নদীর জল বাড়বে এ রাজ্যের একাধিক নদ-নদীতে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত।