ষষ্ঠী থেকে দশমী চিন্তায় বৃষ্টি, কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজোর চারটি দিনের জন্য মাসের পর মাস ধরে সকলেরই থাকে অপেক্ষা, তৈরি করা হয় কত প্ল্যান, কেনাকাটি আরো কতকিছু। কিন্তু এবারের এই পুজোয় মহিষাসুর আগাম হাজির বৃষ্টি।

আর মাত্র কয়েকটা দিন, সূচনাও হয়ে গেছে দেবীপক্ষের। অথচ মহালয়ার দুদিন আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ দেখা যাচ্ছে না। পুজোর আগে এমন মুষলধারায় বৃষ্টিতে বিষাদের কালো মেঘ জমেছে বাঙ্গালীদের মনে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী, পুজো উদ্যোক্তরা সকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কখন ছাড়বে বৃষ্টি। তবে হাওয়া অফিস শোনাচ্ছে অন্য কথা।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন বিষাদে ভরতে পারে বাঙ্গালীদের মন। এই পাঁচ দিনও বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখছে না তারা। আসলেই প্রকৃতিকে বাঁধ দেওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপর মৌসুমী বায়ু অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও রয়েছে আরো বড় আশঙ্কা, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে তৈরি হয় নিম্নচাপ, যে নিম্নচাপের প্রভাবের বৃষ্টি ভেস্তে দিতে পারে পুজোর আনন্দকে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, এবছর মহালয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কার কথা। এমনকি তারা এও জানিয়েছিল দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হবে বীরভূমে। সেই পূর্বাভাসকে বাস্তব করে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, রাতভর বৃষ্টি সম্মুখীন বীরভূম এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি।

যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এই মুহুর্তের পশ্চিমবঙ্গের উপর সক্রিয় রয়েছে, সেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। যে কারণে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এমনিতেই নিজেদের পূজামণ্ডপের কাজ নিয়ে চিন্তিত পুজো উদ্যোক্তারা। তারপর আবার নতুন করে এমন অশনিসংকেত আরও বেশি চিন্তায় ফেলেছে তাদের ও আপামর বাঙালিদের।