Chandipur New Bridge: সেই চার দশক আগে হুগলি এবং দামোদর নদের মধ্যে একটি যোগাযোগ তৈরি করার জন্য একটি ছোট্ট কংক্রিটের ব্রিজ বানানো হয়। তবে যুগ যতই এগোচ্ছে ততই ব্রিজের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া রাজনৈতিক দলকলি বেশকিছু রাস্তাও তৈরি করে। তবে এই সমস্ত বড় বড় রাস্তার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্যই চাঁদিপুরে এই ব্রিজটি নতুনভাবে (Chandipur New Bridge) তৈরি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজ্যের পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট বা পিডব্লিউডি হাওড়ার উলুবেরিয়ার চাঁদিপুরে এই নতুন ব্রিজ (Chandipur New Bridge) উদ্বোধন করতে চলেছে যা গাদিয়ারা এবং গড়চুমুকের মতো পর্যটন স্থানগুলিতে ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে। ভাঙাচোরা অবস্থায় বিদ্যমান পুরনো ব্রিজটি ভেঙে নতুনটির পথ প্রশস্ত করা হবে। বর্তমানে, শুধুমাত্র হালকা যানবাহনগুলিকে সেতুতে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ভারী যানবাহনগুলিকে গাদিয়ারা, গড়চুমুক এবং শ্যামপুরের মতো জায়গায় পৌঁছানোর জন্য একটি বৃত্তাকার প্রসারিত পথ দিয়ে যেতে হয়।
নতুন সেতু নির্মাণের পর এসব স্থানের দূরত্ব অন্তত ১০ কিলোমিটার কমে যাবে। দামোদর ও হুগলি নদীর সংযোগ বিন্দুতে অবস্থিত মেদিনীপুর খালের উপর সেতুটি স্থাপন করা হবে। চাঁদিপুর গ্রামের মানুষ যারা বর্তমান সেতুর উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল তারা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য, দুলাল কর রাজ্যের PWD মন্ত্রী পুলক রায়ের কাছে আবেদন করেছিলেন, যিনি উলুবেড়িয়া দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকার একজন বিধায়কও, চাঁদিপুরে পুরানোটি প্রতিস্থাপন করে একটি নতুন সেতু তৈরি করার জন্য।
হুগলি এবং দামোদর নদ যেখানে মিলিত হয়েছে, ঠিক সেই সংযোগস্থলে আছে মেদিনীপুর ক্যানেল। সেখানে ৩০ ফুট চওড়া এবং ১০০ ফুট লম্বা এক ব্রিজটি তৈরি হবে। যে ব্রিজটি তৈরি হবে সেটি উত্তরে উলুবেড়িয়ার মাঝখান দিয়ে যাওয়া ওডিশা ট্রাঙ্ক রোড। ওদিকে চণ্ডীপুরে কিছু গ্রাম রয়েছে। এই সমস্ত গ্রামের মানুষ বেশিরভাগ এই ব্রিজের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করে। তাই চাঁদিপুরের ব্রিজটি (Chandipur New Bridge) ভেঙে পড়ায় এই সমস্ত মানুষের খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
নতুন সেতু স্থাপনের কাজ চলমান অবস্থায় যানবাহন চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে। চাঁদিপুরের পঞ্চায়েত সদস্য বলেছেন যে, সেলে পণ্যবাহী যানবাহনগুলি ঠিকভাবে চলাচল করতে পারে না। তাই চণ্ডীপুরে নির্মাণ সামগ্রী আনা সত্যিই যেন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সার্কিটাস রুট ব্যবহার করতে হবে যার ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। সুতরাং, নতুন এই সেতুটি অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।