নিজস্ব প্রতিবেদন : সাঁওতাল আদিবাসী কন্যা চাঁদমনি হেমব্রমকে সকলেই এক নামে চেনেন। খুব সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছিল সে, তারপর তার অসাধারণ গানের যাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছে সকলকে। অভাবী ঘরের মেয়ে চাঁদমণির নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসার, সেই সংসারে গান শেখা বিলাসিতা মাত্র।
তাই সেরকমভাবে কোনো প্রশিক্ষণ নিয়ে উঠতে পারেনি চাঁদমনি। পাশের বাড়ির ফোনে চলা গান শুনে শুনেই গান মুখস্ত করতো সে, কাজের ফাঁকে সেই গানই গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠতো আর সেই গানই তাকে বিশ্বের দুয়ারে পরিচিতি এনে দিয়েছে।
হুগলির ইটাচুনা অঞ্চলের গরিব পরিবারের মেয়ে চাঁদ মনির, বাবা নেই। সংসারের জোয়াল টানতে মাকে সাহায্য করতো সে, মায়ের সাথে সারাদিন মাঠে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে কোনরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতো সে আর পাশের বাড়ির সাউন্ড রেকর্ডারে শোনা গান কন্ঠস্থ করে সুন্দরভাবে গিয়ে উঠতো। পরিবারের লোকজন তার এই প্রতিভার কথা জানলেও অভাবের কারণে কোনো রকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি।
স্কুলের শিক্ষক শ্যাম হাজরা লকডাউন চলাকালীন তাদের সাহায্য করতে এসে চাঁদমণির অসাধারণ প্রতিভা দেখে অবাক হয়ে যান। তিনি চাঁদমনির গাওয়া গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন আর সেই গান মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় তারপর বলিউড থেকে ডাক পায় চাঁদমনি। নেহা কক্করের গান গেয়েই ভাইরাল হয়েছিল সে তাই তাকে সকলে জুনিয়র নেহা কক্কর বলতে শুরু করে।
এরপর চাঁদমণি আর সিন্টু প্রসাদ একসাথে ডুয়েটে বার করে গানের অ্যালবাম ‘এই দিনটা বড় মেঘলা’। দুজনের গলার যাদুতেই মুগ্ধ হয়ে যায় নেটাগরিকরা। চাঁদমনি আর সিন্টু দার এই গানটিই সম্প্রতি সকলের সামনে নাটকীয় ভাবে পরিবেশন করলেন অভিষেক ও স্নেহা।
ভিডিওটি ইডিট করেছেন সুরজিৎ দাস আর এই ভিডিওর ক্যামেরাম্যান ছিলেন কুতুবউদ্দিন। চাঁদ মনি আর সিন্টুর গাওয়া গান অভিষেক আর স্নেহার অভিনয়গুণে অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।