নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তিহার বন্দী ছিলেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর জামিন পাওয়ার পর ২৩ তারিখ রাত ৯:২১ মিনিটে তিহার থেকে বের হন। তিহার জেল থেকে বেরিয়ে তিনি মঙ্গলবার বোলপুরের নিচুপট্টির নিজের বাড়িতে আসেন। তবে নিজের বাড়িতে আসার পর যে ঘটনা দেখা গেল তাতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অনুব্রত মণ্ডল দূরত্ব বাড়াচ্ছেন?
এদিন অনুব্রত মণ্ডল ফেরার অপেক্ষায় অনুব্রত মণ্ডল অনুরাগীদের পাশাপাশি জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করাও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনেকেই অনুব্রত মণ্ডল ফেরার পর তার বাড়িতে বসে তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। তবে দুজন বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেও ঢুকতে পারেননি। তাদের হাত নাড়িয়ে বারণ করে দেন তিনি।
যে দুজন অনুব্রত মণ্ডল ফেরার পর অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেও ঢুকতে ব্যর্থ হন সেই দুজন হলেন রাজ্যের পূর্ণ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর অনুব্রত সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিকাশ রায় চৌধুরীকে।
আরও পড়ুন : Anubrata Mondal: দু’বছর পর ঘরে ফিরে অনুব্রত মণ্ডল বললেন ‘ভালো আছি’
এদিকে আবার মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন দিনে প্রশাসনিক বৈঠককে ঘিরে অনুব্রত অনুরাগীদের মধ্যে আশা ছিল হয়তো তার সঙ্গে সাক্ষাত হবে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতে দেখা যায়নি, অথবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে আসতে দেখা যায়নি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দীর্ঘক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য পেশ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে একটিও বাক্য খরচ করেননি।
তবে অনুব্রত মণ্ডল এদিন সকালে বাড়ি ফিরে বলেছিলেন, ‘আজ মমতা ব্যানার্জি আসছে। তার শরীর ঠিক থাকলে দেখা করতে যাবেন।’ অন্যদিকে বিকাশ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘দেখা হলো এইটুকু। আমরা ঠিক সময় বাড়ি পৌঁছে যাব’। অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই জেলার রাজনীতিতে নানান আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এরই মধ্যে এদিন দুজন অনুব্রতর বাড়িতে প্রবেশ না করতে পারার কারণে সেই সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।