চন্দ্রযান-৩ সফলতার মাঝেই আলোড়ন ফেলল ১৫ বছর আগের চন্দ্রযান-১! ঠিক কি কারণে!

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত এখন পৃথিবীর চতুর্থ দেশ যারা চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। চতুর্থ দেশ হিসাবে যেমন চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণ করিয়েছে ভারত, ঠিক সেই রকমই ভারত প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করিয়েছে মহাকাশযান। এমন সফলতা এসেছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের তৃতীয় প্রচেষ্টা চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) এর হাত ধরে।

গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল
ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram) সফলভাবে অবতরণ করার পর চাঁদের মাটিতে পা রাখে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। টানা ১৪ দিন নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করার কথা থাকলেও তারা সময়ের আগেই নিজেদের কাজ সেরে ফেলে। এরপর চাঁদে অন্ধকার নামতেই তারা এখন বিশ্রামে রয়েছে। তবে এই চন্দ্রযান-৩ এর সফলতার মাঝেই হঠাৎ আলোড়ন ফেলল চন্দ্রযান ১ (Chandrayaan 1)। হঠাৎ ১৫ বছর আগের কথা এখন কেন আলোচনায়?

১৫ বছর আগের ইসরোর প্রথম চন্দ্রযান হঠাৎ করে এমন আলোচনায় এসেছে মূলত নতুন তথ্য সামনে আসার পরিপ্রেক্ষিতে। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল চন্দ্রযান-১। এরপর ২১ দিনের মাথায় ১৪ নভেম্বর সে চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে। তবে ওই মহাকাশযান কোন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েনি। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে ফেলা হয়েছিল। আর এই ভাবেই তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

চন্দ্রযান-১ চাঁদে জলের প্রথম অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিল। এবার তার দেওয়া তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতেই জানা গেল চাঁদে জলের উৎসের পিছনে কার অবদান রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যখন চন্দ্রযান-৩ সফলতায় দেশের মানুষ আনন্দে আত্মহারা ঠিক সেই সময় এই আনন্দকে আরও দ্বিগুণ করে দিয়েছে যখন জানা যায়, চন্দ্রযান-১ দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চাঁদে জলের উৎসের কার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।

আমেরিকার মনবাতে অবস্থিত হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, সম্ভবত পৃথিবীর জন্যই চাঁদে জলের অস্তিত্ব রয়েছে। কেননা এই গ্রহের প্লাজমা স্তরে যে সকল হাই ইলেক্ট্রন এনার্জি থাকে সেগুলিই চাঁদে জল তৈরিতে সাহায্য করেছে। পৃথিবীর চারদিকে যে প্লাজমা স্তর রয়েছে তার প্রভাবেই চাঁদের পাথর ভেঙে যায় বা গলে যায়। এছাড়াও খনিজ তৈরি এবং চাঁদের বায়ুমণ্ডলের আবহাওয়াতেও পরিবর্তন আনতে পারে পৃথিবীর এই প্লাজমা স্তর। চাঁদে জলের অস্তিত্বের পিছনে পৃথিবীর যে অবদান রয়েছে তা জানা গিয়েছে মূলত চন্দ্রযান-১ দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বলে জানা যাচ্ছে।