নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে তুলে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার ইসরো (ISRO)। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ভারতের মহাকাশ যান চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হলো।
মহাকাশযান অবতরণ করিয়ে যেমন ভারতের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে উঠেছে ঠিক সেইরকমই এই অভিযানের আরও বড় লক্ষ্য হলো, বিপুল পরিমাণে চাঁদের মাটি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আনা। তথ্য সংগ্রহ করার এই কাজ ইতিমধ্যেই সফলভাবে করে চলেছে বিক্রম ল্যান্ডার (Lander Vikram) এবং রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan)। প্রজ্ঞান তথ্য সংগ্রহ করে বিক্রমকে পাঠাচ্ছে আর বিক্রম তা পাঠাচ্ছে ইসরোতে।
মঙ্গলবার ইসরোর তরফ থেকে চাঁদের মাটিতে এখনও পর্যন্ত কি কি পাওয়া গিয়েছে সেই নিয়ে একটি আপডেট দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইসরোর তরফ থেকে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে সেই আপডেট রীতিমতো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। কেননা এখনো পর্যন্ত প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে যা যা পেয়েছে তাতে সেখানে বেঁচে থাকার রসদ রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তা মিলেছে দক্ষিণ মেরুতে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অক্সিজেনের খোঁজ মিলতেই শুরু হয়েছে নানান কৌতুহল। ইতিমধ্যে অনেকেই দাবি করছেন, তাহলে কি এবার চাঁদের মাটিতে বসতি গড়া কেবল সময়ের অপেক্ষা! এছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি চাঁদে কোন প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে? তবে শুধু অক্সিজেন নয়, অক্সিজেন ছাড়াও আরও বিভিন্ন খনিজ সম্পদ থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদানের খোঁজ ইতিমধ্যে এসেছে প্রজ্ঞানের হাতে।
Chandrayaan-3 Mission:
In-situ scientific experiments continue …..
Laser-Induced Breakdown Spectroscope (LIBS) instrument onboard the Rover unambiguously confirms the presence of Sulphur (S) in the lunar surface near the south pole, through first-ever in-situ measurements.… pic.twitter.com/vDQmByWcSL
— ISRO (@isro) August 29, 2023
ইসরোর তরফ থেকে যা জানানো হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, লৌহ, ক্রোমিয়াম, সিলিকন, অক্সিজেন, ম্যাঙ্গানিজ, টাইটানিয়াম। এখন প্রজ্ঞান খোঁজ চালাচ্ছে হাইড্রোজেনের। চাঁদের মাটিতে এখনো পর্যন্ত প্রজ্ঞান সাত দিন কাটাল। সে এখনো সাত দিন সেখানে কাটাবে। এক্ষেত্রে আগামী দিনে আরও নতুন নতুন আবিষ্কার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগার বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।