Chandrayaan-3 was launched with 10 objectives: আমরা জানি, ভারতীয় মহাকাশ ও গবেষণা সংস্থা (The Indian Space and Research Organization) হল বিশ্ব বিখ্যাত মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা যা, সফলভাবে বিভিন্ন মহাকাশ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিচিত। ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যান্ড রিসার্চ অর্গানাইজেশন, ১৪ ই জুলাই ২০২৩, শুক্রবার দুপুর ২.৩৫ নাগাদ (ভারতীয় মান সময়) চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। চন্দ্রযান-৩, সংস্কৃতে “মুন ক্রাফট” শব্দটি, ওড়িশার শ্রীহরিকোটার একটি লঞ্চ প্যাড থেকে একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে৷
এই মিশনের লক্ষ্য হল রোভার এবং ল্যান্ডারকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা, যাতে মহাজাগতিক বস্তুর পৃষ্ঠের মৌলিক গবেষণা করা যায়। এটি চাঁদের সারফেস প্রোপার্টি এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার এবং রোভার রয়েছে। রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে এবং ল্যান্ডার দক্ষিণ মেরু থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। ল্যান্ডার এবং রোভার উভয়েরই বিভিন্ন ডেটা পাওয়ার জন্য যথাক্রমে ChaSTE এবং APXS নামে পরিচিত পেলোড রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত জানা গেছে যে, চন্দ্রযান-৩ এর বাজেট ₹৬১৫ কোটি আর এই মিশনটি ISRO-এর জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ISRO নাগরিকদেরকে isro.gov.in-এ চন্দ্রযান-৩ রেজিস্ট্রেশন করে যানবাহনের লাইভ লঞ্চ দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কীভাবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) ইভেন্টটি দেখা গেছে? নিম্নে জেনে নিন বিস্তারিত।
চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) ১০ টি প্রধাণ উদ্দেশ্যে:
চাঁদ সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা: চন্দ্রযান-৩ এর একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে চাঁদের ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সমূহ, চাঁদের পৃষ্ঠতলের পরিমাপ, গঠন এছাড়া অন্যান্য বৈশিষ্ট্য উদ্ধার করা।
ল্যান্ডিং সাইট সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা: এই নতুন মিশনের দ্বিতীয় মিশন হল চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্তর্ভুক্ত বায়ুমণ্ডল নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য বের করা। ভূপৃষ্ঠের পরিকাঠামো, তাপ পরিবাহিতা ইত্যাদি সকল বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভবিষ্যতের গবেষণার জন্য তুলে ধরা।
চাঁদের মাটিতে নিরাপদ ল্যান্ডিং: উক্ত মিশনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যাতে চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে নিরাপদে ল্যান্ডিং করতে পারে।
চন্দ্র অন্বেষণের অগ্রগতি: ভবিষ্যতে যাতে আরও বেশি করে চন্দ্রযান গিয়ে চাঁদকে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সফল হয়, সেই বিষয়টিকে মসৃণ করা।
আর্টেমিস-III মিশন: এই মিশনের অনেকাংশেই মিল পাওয়া যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আর্টেমিস-III মিশনের যে লক্ষ্য গুলি ছিল তার সাথে। এর মূল উদ্দেশ্য হল মানুষ যাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে পারে।
রোভার অনুসন্ধান: এটি চাঁদের পৃষ্ঠতলে পৌঁছে একটি রোভার প্রতিষ্ঠা করে আসবে, যা ইন-সিটু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সহায়তা করবে এবং চন্দ্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
চন্দ্রের দক্ষিণ মেরু অনুসন্ধান: চন্দ্রযান-৩ নামবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। যেহেতু চাঁদের এই অংশ আলোবিহীন থাকায় চির অন্ধকার, তাই এই অংশের রহস্য উদ্ধার করবে এবার চন্দ্রযান-৩।
বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক সমর্থণ: চন্দ্রযান-৩ যে তথ্য অন্বেষণ করবে তা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। এর ফলে মহাকাশ নিয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পথ আগের তুলনায় অনেক সোজা হবে।
মহাকাশ যাত্রাকে উন্নত করা: পৃথিবীর বাইরেও যে একটি জগত রয়েছে এবং সেই জগতে অন্তর্গত চন্দ্রে যে মানুষ তার ক্ষণিকের জন্য আধিপত্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে, সেই মহাকাশ যাত্রাকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করবে চন্দ্রযান-৩।
প্রযুক্তিগত বৃদ্ধি: আন্তঃগ্রহ মিশন যাতে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য প্রযুক্তিগত দিককে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করাও এর উদ্দেশ্য।