MBBS Exam: রাজ্য রাজনীতি আরজিকর কাণ্ডের আবহে খুবই উত্তপ্ত। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় এবার থেকে এমবিবিসএস পরীক্ষায় বজায় রাখা হবে অতিরিক্ত স্বচ্ছতা। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছতা দূর করার জন্যই এই পদক্ষেপ। এমবিবিএস পরীক্ষায় বজায় থাকবে সিসিটিভির নজরদারি এবং পাশাপাশি ফিরছে বারকোড পদ্ধতিও। এক নয়া পদ্ধতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার চালু করা হলো SOP। এসওপিতে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। সূত্র মারফত জানা গেছে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এত কড়াকড়ি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানা যাচ্ছে যে, এতদিন যাবত যোগ্যতাহীন পড়ুয়াদের স্রেফ টাকার বিনিময়ে চার বছর ফাঁকি দিয়ে ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেওয়া হতো। এই অস্বাস্থ্যকর কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্যই চিকিৎসা পরিষেবায় হাল ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছিলেন ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে। অভিযোগের পাশাপাশি আন্দোলনও বজায় রয়েছে এখনো পর্যন্ত। জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন যে এমন বহু ছেলেমেয়ে আছে যারা দীর্ঘ বছর পড়াশোনা না করে স্রেফ টাকা দিয়েই পাশ করে গেছে। তারা হয়তো উত্তরপত্রে কিছুই লিখতে পারছে না, তবুও পাশ করানো হচ্ছে তাদের। ফলে বহু ‘অযোগ্য’ ডাক্তার তৈরি হচ্ছে।
আরো পড়ুন: গঙ্গার তলা দিয়ে আসছে কলকাতা-হাওড়া ট্রাক সুড়ঙ্গ, যানজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান
অক্টোবর মাসে নবান্নে বৈঠক হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে। ফ্রন্টের সদস্য অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। তারা কঠোরভাবে অভিযোগ করে যে এমবিবিএস পরীক্ষাতে (MBBS Exam) বজায় রাখা হচ্ছে না স্বচ্ছতা। সুহৃতা পাল যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি সিসিটিভি নজরদারি-সহ একাধিক বিষয় এড়িয়ে যেতেন। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন এই সমস্ত বিষয়গুলোকে খতিয়ে দেখবেন। এরপর তিনিই স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাদের MBBS পরীক্ষায় স্বচ্ছতার ফেরানো নিয়ে কড়া বার্তা দেন। পরীক্ষায় যাতে কোনরকম কারচুপি করা না হয় সেদিকে এবার থেকে নজর রাখা হবে।
আরো পড়ুন: ICDS কর্মীদের জন্য অবশেষে এল বড় নির্দেশ, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন যে এবার থেকে এই পরীক্ষাগুলো (MBBS Exam) কঠোরভাবে নেওয়া হবে। কোনরকম প্রতারণার সুযোগ যাতে ছেলেমেয়েরা না পায় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। একগুচ্ছ SOP নতুন করে তৈরি করা হবে এবং অবশ্যই পরীক্ষার সময় সিসিটিভি ছাড়াও মেডিক্যাল কলেজগুলির প্রিন্সিপালদের নজরদারি থাকবে। উত্তরপত্রে নাম নয়, বারকোড থাকবে।
এবার থেকে রাজ্যের এমবিবিএস পরীক্ষা (MBBS Exam) হবে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে। ধরুন যে সমস্ত পড়ুয়াদের রোল নম্বর পরপর দেওয়া আছে তারা পাশাপাশি বসতে পারবে না। এমবিবিএস পরীক্ষা দিতে গেলে মানতে হবে এইসব নিয়ম। মুখ্যমন্ত্রীর বলেছেন যে, সারা বছর যেসমস্ত ছেলেমেয়েরা কষ্ট করে পড়াশোনা করে, এই পরীক্ষায় তাঁরাই সফল হবে। কিন্তু যারা ফাঁকি দিয়ে পড়াশুনা করেছে তারা কোনোভাবেই ডাক্তারি পাশ করতে পারবেনা। এমবিবিএস পরীক্ষায় যদি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে এইসব কারচুপি আর হবে না। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ পরিবেশ শুদ্ধ করে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য।