Eastern Railway: ভারতীয় রেল দেশের মেরুদন্ড, বৃহত্তম এই পরিবহন ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। সব ধরনের মানুষ খুব সহজেই কম খরচে যাত্রা করতে পারে ট্রেনের দ্বারা। দেশের যেকোন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া একেবারে সহজ ভারতীয় রেলের মাধ্যমে। শিরা উপশিরার মত সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় রেল। আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন পূর্ব রেল সময়সূচিতে কি পরিবর্তন এনেছে।
পূর্ব রেলে (Eastern Railway) ট্রেনের সময়সূচিতে বদল ঘটবে নতুন বছর থেকে। বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু হতে চলেছে এবং পরিষেবা আরো ভালো করার প্রচেষ্টা করছে ভারতীয় রেল। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, কিছু ট্রেনের ছাড়ার এবং গন্তব্যে পৌঁছনোর সময় বদলে যাচ্ছে। এমনকি নতুন লাইন চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের মেন এবং কর্ড শাখা তো আছেই পাশাপাশি নৈহাটি-সহ একাধিক শাখায় তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইন চালু হয়েছে। শুধুমাত্র যে পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে তা নয়, এই পরিবর্তিত সূচির কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু নতুন ট্রেন চালু করা হচ্ছে এবং একাধিক ক্ষেত্রে ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, পরিবর্তিত সূচিতে কৃষ্ণনগর-রানাঘাট লোকাল একটি বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও, দু’টি হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হচ্ছে। একটি তারকেশ্বর এবং অন্যটি হরিপাল পর্যন্ত চলবে। পাশাপাশি পরিবর্তিত সূচির কারণে দূরপাল্লার ৪২টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সময় কমানো হয়েছে। ৬৩টি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের সময় ৫ মিনিট থেকে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এছাড়াও ৮টি মেমু, ডেমু এবং ই এম ইউ ট্রেনের (Eastern Railway) ক্ষেত্রে সফরের সময় কমানো হয়েছে ৬ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত। রেল সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে ৮৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, ৪৪টি ডেমু প্যাসেঞ্জার এবং ১৪৬টি মেমু প্যাসেঞ্জারের ক্রমিক সংখ্যার বদল ঘটছে।
এমনকি ছাড়ার সময়ের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে বিরাট রদবদল। রেল সূত্র মারফত জানানো হয়েছে যে, শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং মেল পূর্বনির্ধারিত সময় ১০টা ৫ মিনিটের পরিবর্তে ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এখন দুপুর ৩টে ১৫ মিনিটের পরিবর্তে দুপুর ২টোয় হাওড়া থেকে ছাড়বে।
এমনকি আগে যে সময়ে কলকাতা স্টেশন থেকে যোগবাণী এক্সপ্রেস ছাড়তো তার পরিবর্তে ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে।এমনকি হাওড়া-জামালপুর এক্সপ্রেস রাত ১০টা ৪০মিনিটের পরিবর্তে রাত ১১টা ৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে এমনটাই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন পরিকাঠামো এবং পরিষেবা আরো উন্নত করার জন্যই পূর্ব রেলের (Eastern Railway) পক্ষ থেকে এই পরিবর্তন করা হয়েছে।