Motor Training School: বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা জায়গা থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল। সম্প্রতি পরিবহন দপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিল যাতে জমে থাকা নানা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এক নিমেষে। এখন থেকে রাজ্যের মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির মালিকানা ও ঠিকানা বদল করতে গেলে আর আগের মত ঝামেলা পোহাতে হবে না। কি এমন পদক্ষেপ নিল রাজ্যের পরিবহন দপ্তর আসুন জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।
রাজ্যের পরিবহন দপ্তর এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু মোটর ট্রেনিং স্কুল (Motor Training School) রয়েছে। এই স্কুলগুলো যদি চায় তাহলে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে মালিকানা ও ঠিকানা বদল করতে পারবে। মালিকানা এবং ঠিকানা পরিবর্তন করতে গেলে পরিবহণ দফতরের কাছে মোট ১২টি নথি জমা করতে হবে। যদি সমস্ত নথিপত্র সঠিক থাকে তাহলে পরিবহন দপ্তর ঠিকানা ও মালিকানা পরিবর্তনের অনুমতি প্রদান করবে। মোটর ভেহিকল আইন ও বিধিতে মালিকানা কিংবা ঠিকানা পরিবর্তনের সুস্পষ্ট সংস্থান নেই বলে দাবি পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের। তাই মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকানা কিংবা ঠিকানা বদল সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন তাঁরা।
রাজ্যের একাধিক মোটর ট্রেনিং স্কুলের (Motor Training School) তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে তাদের আবেদন দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়ে রয়েছে পরিবহন দপ্তরে। একটি বৈঠকে আলাপ আলোচনার পর দফতরের আধিকারিকরা এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও মোটর ট্রেনিং স্কুলের মালিকের মৃত্যুতে কিংবা ভিন্ন কারণে মালিকানা বদলের জন্য স্কুলের লাইসেন্স-সহ আইনি দাবিদারকে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।
আরো পড়ুন: একটি ফোন নম্বর, দিঘা-মন্দরমনিতে অনেক কিছু সাহায্য করতে পারে মহিলাদের
তবে মালিকানা পরিবর্তনের জন্য জমা করতে হবে মৃত্যুর শংসাপত্র এবং সঙ্গে দিতে হবে একটি হলফনামা। যে লিখিত বয়ান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাতে লেখা থাকবে সংশ্লিষ্ট মোটর ট্রেনিং স্কুলের (Motor Training School) অন্য কোনও দাবিদারের এই বিষয়ে কোনও আপত্তি নেই। এছাড়াও সঙ্গে দিতে হবে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ, প্যান ও আধার কার্ডের প্রতিলিপি। আবেদনে মোট ১২টি বিষয়কে যুক্ত করতে হবে।
মোটর ট্রেনিং স্কুলের ঠিকানা বদলের আবেদন করার জন্য দিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স। এছাড়াও পাশাপাশি লাগবে প্যান ও আধার-সহ স্কুল অফিসের মালিকানার প্রমাণপত্র। জমা পড়া সমস্ত নথিপত্র পরিবহণ দফতর অবশ্যই খতিয়ে দেখবে। প্রত্যেকটি নথিপত্র সঠিকভাবে যাচাই করা উচিত। যাচাই করার পর ঠিকানা বদলের অনুমতি পাওয়া যাবে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, মালিকানা এবং ঠিকানা হলো এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে পরিবহণ দফতরে বহু মালিকানা এবং ঠিকানা বদলের আবেদনপত্র জমা পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছিল না। একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে জানানো হয়েছে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। সঠিক নথি জমা দিলে মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির ঠিকানা ও মালিকানা বদলে খুব বেশি সময় লাগবে না।