নিজস্ব প্রতিবেদন : ১০ বছর ধরে নয়ডার ৯৩ এ সেক্টরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা টুইন টাওয়ার রবিবার দুপুর বেলা ভেঙে ফেলা হয়। এই টুইন টাওয়ার ভেঙ্গে ফেলার জন্য ব্যবহার করা হয় ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক। ৪০ তলা এই আবাসন মাত্র ৯ সেকেন্ডে এক বোতাম টিপেই ভ্যানিশ করে দেন ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত।
১০০ মিটার উঁচু এই টুইন টাওয়ারে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তা ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছে। একটি বোতাম টিপে এই ধ্বংসলীলা শুরু এবং শেষ করেন এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আধিকারিক চেতন দত্ত। এই টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার সময় তিনি মাত্র ৭০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
টুইন টাওয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই ধ্বংসলীলার অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার চেতন দত্ত এবং তার সহকর্মীদের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরই চোখে জল আসে। তবে সেই চোখের জল আনন্দ এবং উল্লাসে। সফলভাবে এমন ঐতিহাসিক কাণ্ড ঘটানোর পরিপ্রেক্ষিতে তারা কেঁদে ফেলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চেতন দত্ত জানিয়েছেন, “এই ধ্বংসের প্রক্রিয়া ১০০ শতাংশ সফল। পুরো নির্মাণটি ভেঙে পড়তে ৯ থেকে ১০ সেকেণ্ড সময় লাগে। আমার দলে ১০ জন, ৭ জন বিদেশের বিশেষজ্ঞ ও এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২০ থেকে ২৫ জন ছিলাম।”
৪০ তলা এই আবাসন ভেঙ্গে ফেলার জন্য বোতাম টেপার মুহুর্তে যে অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে সেই প্রসঙ্গে চেতন দত্ত জানিয়েছেন, “ওয়ার্নিং সাইরেন বেজে ওঠার পরই নিশ্চুপ হয়ে যাই আমি এবং দলের বাকি সদস্যরা। কেউ কারোর সঙ্গে একটি শব্দও বিনিময় করি নি। বোতাম টেপার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছিল টুইন টাওয়ার। আমি মাথা তুলে একবার তাকালাম। সবটা গুঁড়িয়ে যাওয়ার পরে আমি ও আমার দলের সদস্যরা ধূলিঝড় থামার অপেক্ষা করি নি। আমরা ধ্বংসের সাইটে গিয়ে এমেরাল্ড কোর্ট ও এটিএস ভিলেজের কাছাকাছি বাসভবনগুলিকে খতিয়ে দেখি।”