নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ২৩ জুলাইয়ের পর থেকেই বাজারে হু হু করে কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। সোনার দাম এইভাবে কমার পর থেকেই রীতিমতো আলোচনায় রয়েছে শুধু সোনা আর সোনা। তবে শুধু সোনা নয়, পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছে চিকেনও। কখনো দাম বৃদ্ধি আবার কখনো কমে যাওয়ার কারণেই চিকেন এখন সোনার মতোই ট্রেন্ডিং টপিক। গত কয়েকদিন ধরে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর এবার সোনার মতো হু হু করে দাম কমতে শুরু করেছে চিকেনের (Chicken Price)। আর এতেই দোকানে দোকানে পড়তে শুরু করেছে লম্বা লাইন।
এমনিতেই এখন বর্ষার মরশুম। বর্ষার মরশুমে মাঝে মাঝেই বৃষ্টিতে আবহাওয়া বেশ অনুকূল হয়ে পড়ছে। আবহাওয়া অনুকূল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান ধরনের খাবার-দাবারের পরিপাটি। আর সেই খাবার-দাবারের তালিকায় চিকেন থাকবে না এমনটা হতে পারে না। দিন কয়েক কাজে ধর্মঘটের কারণে চিকেনের দাম বৃদ্ধি পেলেও জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দাম অনেকটাই কমেছে আর দাম কমার ফলে স্বস্তি ফিরেছে চিকেনপ্রেমীদের মধ্যে।
দিন কয়েক আগে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারণে ড্রেসড চিকেন অর্থাৎ কাটা মুরগির মাংসের দাম প্রায় ৩০০ টাকা কেজিতে পৌঁছে গিয়েছিল। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এমন ঘটনার ছবি ধরা পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ড্রেসড চিকেনের দাম প্রায় ৩০০ টাকা পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি হোল চিকেন অর্থাৎ গোটা মুরগির দামও পৌঁছে গিয়েছিল কমকরে ১৮০ টাকা কেজিতে। তবে এবার এসব থেকে স্বস্তি দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন।
আরও পড়ুন ? FASTag New Guideline: জারি হয়ে গেল নতুন নির্দেশিকা, FASTag-এর লিঙ্ক করাতে হবে এতকিছু
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের তরফ থেকে চিকেনের দাম সস্তা হয়েছে এমন ঘোষণা করার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এখন ড্রেসড চিকেন পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কিলো দরে। অন্যদিকে হোল চিকেন পাওয়া যাচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কিলোয়। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে জুলাই মাসের শেষে ড্রেসড চিকেনের দামে অন্ততপক্ষে ১০০ থেকে ১২০ টাকা তফাৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হোল চিকেনের ক্ষেত্রেও তফাৎ এখন ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা।
চিকেনের দাম আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে যেমন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট ছিল ঠিক সেই রকমই আবার এই রকম ভাবে দাম কমার পিছনে রয়েছে ধর্মঘট প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও একটি গুজব। মূলত দিন কয়েক ধরেই মুরগির মাংস খেয়ে বার্ড ফ্লুতে অসুস্থ হওয়ার একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আর সেই গুজবের জেরেই অনেক জায়গায় মুরগির মাংসের বিক্রি কমে যায়।