নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। আর এই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার সাথে সাথে দেখা যায় অসমে তিন দফায় হবে নির্বাচন, বাকি অন্যান্য রাজ্যে এক দফা এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হবে ৮ দফায়। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলো নির্বাচন কমিশন?
গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছে। আর এবার বিধানসভা নির্বাচনে আরও একদফা বেড়ে গেল। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, “এই বিষয়ে আমি এখানে কোন দলের নাম নেবো না। আমরা যখন রাজ্যের আইন শৃংখলার বিষয়টি দেখি তখন কিছু জিনিস মাথায় রাখি। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ছয় দফায় নির্বাচন হয়েছে। আসলে ৬-এ, ৬-বি অর্থাৎ ৭ দফা। লোকসভাতেও সাত দফায় নির্বাচন হয়েছে বাংলায়। তাই এক দফা বৃদ্ধির বিষয়টি আমরা বড় আকারে দেখছি না। আমাদের বাহিনীর বিষয়টির দিকে নজর রেখে রাজ্যে কত দফায় ভোট হবে তা নজরে রাখতে হয়।”
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, “পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টি আলাদা। যে কারণে দুজন পুলিশ অবজারভার রাখা হয়েছে। যারা বিএসএফ হেলিকপ্টারের সুবিধা পাবেন। যাতে করে তারা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ইতিমধ্যে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এই পুলিশ অবজারভার টিমের জন্য দুই-তিনটি হেলিকপ্টারের কথা বলেছি।”
[aaroporuntag]
তবে নির্বাচন কমিশনের এই পশ্চিমবঙ্গের ভোট আট দফায় নির্বাচন করার বিষয়টি ভালো চোখে নিচ্ছে না শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের একাধিক নেতারা কমিশনের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও বিরোধীরাও পাল্টে দিতে ছাড়েননি। তাদের দাবি, অতীতের পঞ্চায়েত নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন দেখে মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেছে। যা নজরে ছিল কমিশনের। সেই থেকেই আট দফায় নির্বাচন হতে চলেছে বাংলায়।