করোনা আবহে মুখ্যমন্ত্রীর খোলা চিঠি, দিলেন নিজের দপ্তরের মোবাইল নম্বর

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের থাবা ক্রমশই বলিষ্ঠ হচ্ছে দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গে। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তৎপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাইতো তিনি বারংবার রাস্তায় নেমে বোঝাচ্ছেন স্থানীয়দের। কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন, কিভাবে হাটে-বাজারে চলাফেরা করবেন, একেবারে হাতে-কলমে বোঝাচ্ছেন তিনি। আর এখানেই শেষ নয়, নাগরিকদের জন্য লিখলেন খোলা চিঠি, দিলেন নিজের দপ্তরের মোবাইল নম্বর নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করার জন্য।

কোথাও কোন রকম সমস্যা বাড়লেই নির্দ্বিধায় একটি নম্বর দিয়ে সেখানে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে নম্বরটি দেওয়া হয়েছে সেই নম্বরটি হলো নিজের দপ্তরের সৌম্য হালদারের। নম্বর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোনরকম বিপদে পড়লে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে ওই নম্বরে। বুধবার তৃণমূলের অফিশিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ওই নম্বর দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “প্রিয় সাথী, COVID-19 কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী এখন এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে। আমাদের প্রিয় বাংলাতেও তার প্রভাব পড়েছে। এই গভীর বিপদের সময় আপনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাজ্যের মানুষের সেবা করে চলেছেন, তাকে আমি কুর্নিশ জানাচ্ছি। সত্যি, আপনাকে ধন্যবাদ জানানাের কোন ভাষা আমার কাছে নেই। আমি নিশ্চিত, যতদিন না আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে পুরােপুরি মুক্ত হচ্ছি, আপনি সম্পূর্ণভাবে আপনার ভূমিকা পালন করে যাবেন। নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের শরীরের যত্ন নেবেন, খুব সাবধানে থাকবেন। আপনার নিজের বা পরিবারের কারুর কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে, আমার দপ্তরের সৌম্য হালদারের সঙ্গে যােগাযােগ করবেন (Mob : 9433002391)। আপনাদের প্রত্যেককে আমি অনেক, অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই পরিস্থিতি আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।”

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে নিজে ৫ লক্ষ টাকা করে ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন। আর তারপর তিনি লিখেছেন, “বিধায়ক অথবা মন্ত্রী হিসাবে কোন বেতন নি নাই। সাত বারের সাংসদ থাকার জন্য প্রাপ্য পেনশনও নি নাই। আমার সীমিত আয়ের থেকেই এই অনুদান দিলাম ত্রাণ তহবিলে।”