নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জমি জায়গা দখলের অভিযোগ তুলতে দেখা যাচ্ছে। কখনো সাধারণ নাগরিকদের অজান্তেই জমি অন্যজনের দখলে চলে যাচ্ছে, আবার কখনো সরকারি জমিও (WB Govt Land) চলে যাচ্ছে দখলে। মূলত গাজোয়ারি করে এই সকল জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ তুলতে দেখা সাধারণ নাগরিকদের। এমনকি গাজোয়ারি করে জমি দখলের তালিকায় রয়েছে অজস্র সরকারি জমি।
এই ধরনের ঘটনা নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন। সরকারি জমি জবর দখলের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবার জিরো টলারেন্স নীতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার কথা অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই রেয়াত করা যাবে না।
কোন কোন এলাকায় সরকারি জমি জবরদখল করা হয়েছে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসার পিছনে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এবং শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে সরকারি জমি জবরদখল করার অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে। মনে করা হচ্ছে এইভাবে জমি জবরদখল করার ক্ষেত্রে ইন্ধন রয়েছে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীদের।
বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে ওঠার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনভাবেই এই সকল ঘটনা রেয়াত করা যাবে না। প্রয়োজন পড়লে জমি দখলকারীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। এমন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি তিনি কোন কোন এলাকায় সরকারি জমি জবরদখল হয়েছে সেই তালিকা চেয়েছেন এবং সেই সকল জায়গা জবরদখল মুক্ত করে সরকারি জমি বলে হোর্ডিং টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
ভোটের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন এবং ভোট মিটে যাওয়ার পর তিনি ফের নবান্নে কাজে ফিরেছেন। নবান্নে কাজে ফেরার পরই প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে করে বর্ষা আসার আগেই বিভিন্ন কাজ হয়ে যায়। আর এসবের মধ্যেই এবার সরকারি জমির জবরদখল নিয়ে তিনি মুখ খুললেন।