বৈঠকের টেবিলে ভারতে জয়, লাদাখে পিছু হঠতে রাজি চিন সেনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : লাদেখের গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ তারিখ রাতে ভারত ও ও চিন সেনাদের সংঘাতের পর লেফটেন্যান্ট পর্যায়ে দুই দেশের টানা বৈঠকে অবশেষে বড় জয় পেল ভারত। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে পিছু হঠতে রাজি হল চিন সেনারা। চিন সেনারা পিছু হঠতে রাজি হওয়াই ভারতীয় সেনারাও উপত্যকা থেকে সরে যেতে সম্মত হলো। সোমবার দুই দেশের সেনা পর্যায়ে টানা ১১ ঘণ্টা বৈঠক হয় উপত্যকা থেকে সেনা সরানো নিয়ে।

বৈঠকের পর মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাদের তরফ থেকে জানানো হয়, সোমবারের বৈঠক বেশ আন্তরিক এবং ইতিবাচক হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিতর্কিত সব জায়গা থেকে দুই দেশের সেনারা সরে যাওয়ার বিষয়ে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থায়ী বাঙ্কার এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার বিষয়েও সম্মতি পোষণ করেছে লালফৌজ। গালওয়ান উপত্যকার পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪ ও ১৫, গোগরা উপত্যকার পেট্রলিং পয়েন্ট ১৭, প্যাংগং হ্রদের উত্তরে ফিঙ্গার ৪-৮ পর্যন্ত এলাকায় বেশ কতকগুলি নির্মাণ করেছে চিনা সেনা।

চীন ও ভারতীয় সেনাদের লেফটেন্যান্ট পর্যায়ের এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেনাবাহিনীর ১৪ নম্বর কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং। অন্যদিকে দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি রিজিয়নের কম্যান্ডার জেনারেল লিউ লিন পিপলস লিবারেশন আর্মির প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপর টানা ১১ ঘণ্টা বৈঠক চলার পর চিন সেনারা সমস্ত রকম বিতর্কিত জায়গা থেকে সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দেয়। চিন সেনাদের তরফ থেকে সম্মতি নেওয়ার পর ভারতীয় সেনারাও বিতর্কিত জায়গা থেকে সরতে রাজি হয়।

অন্যদিকে আবার মঙ্গলবার লাদাখে গিয়ে সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন সেনা প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেনাপ্রধান লেহ-তে সেনা হাসপাতালে সোমবারের সংঘাতে আহত সেনাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কারণ গত ১৫ তারিখের ঘটনার পর দুই দেশই শান্তি ফেরানোর কথা বললেও প্রতিনিয়ত চাপা উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল গালওয়ানে। যে কারণে দুই দেশের সেনারা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালে ডোকলাম উপত্যকায়।