নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান ২ এর ব্যর্থতা দূরে সরিয়ে নতুন করে অভিযান শুরু করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩ এর (Chandrayaan 3)। ১৪ জুলাই শুক্রবার শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান ৩ এর উৎক্ষেপণ করে ইসরো (ISRO)। সফল উৎক্ষেপণের পর এখন ধাপে ধাপে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চন্দ্রযান ৩। যদিও চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে সময় লাগবে উৎক্ষেপণের পর প্রায় ৪০ দিন। ২৩ অথবা ২৪ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে ল্যান্ডার বিক্রম।
ভারতের এমন চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশ ইসরোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ইসরোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হিসাবে বলা যেতে পারে এত কম খরচে ভারত এমন উৎক্ষেপণ করিয়ে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, ভারতের এই অভিযান সফল হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিও অনেক সুবিধা পাবে গবেষণার ক্ষেত্রে।
তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ভারতের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে শুভকামনা দিলেও কিছু কিছু মানুষ যেমন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন। একইভাবে ভারতের দেখাদেখি তড়িঘড়ি চীন চাঁদে মানুষ পাঠানোর ঘোষণা করেছে। এমনই এক বিষয় সামনে এসেছে মূলত ওই দেশের প্রবীণ নভশ্চর ইয়াং লিও-র ফাঁস করা তথ্য থেকে। এছাড়াও চীনের একটি সংবাদপত্রে এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
চীন সরকার পরিচালিত গুয়াংজু ডেইলি নামে একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে ইয়াং লিও জানিয়েছেন, ২০২৭ থেকে ২৮ সাল নাগাদ মহাকাশে পাঠানো হবে মানববাহী একটি মহাকাশযান। যেখানে সাতজন নভশ্চর রওনা দেবেন। চন্দ্রাভিযানের জন্য নতুন প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার হবে এবং সেই মেশিনে চড়েই নভশ্চরদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
ইয়াং লিও চীনের মানববাহী মহাকাশযান প্রকল্পের উপ-প্রধান পদে রয়েছেন এবং তিনি ১৭ জুলাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান সফল করার জন্য ইতিমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে চীন।