নিজস্ব প্রতিবেদন : LAC বরাবর ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনাকে প্রশমিত করার জন্য চলছে আলোচনা। তবে এই আলোচনার মাঝেই বুধবার নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পূর্ব লাদাখে চীন সেনা মোতায়েন নিয়ে। সংবাদমাধ্যম এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২০,০০০ সেনা মোতায়েন করেছে চিন। শুধু পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নয়, পাশাপাশি জিংজিয়াং প্রদেশেও কমকরে ১০ থেকে ১২ হাজার চীন সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। আর উদ্বেগের বিষয় এটাই যে এই প্রদেশ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সেনারা LAC-তে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।
LAC বরাবর উত্তেজনা কমানোর জন্য গত ৬ সপ্তাহ ধরে ভারতের তরফ থেকে কূটনৈতিক এবং সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে। কিন্তু উত্তেজনা কমানোর মতো কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং এই আলোচনার মাঝেই এই বিপুলসংখ্যক চীন সেনা নিয়োগের ফলে উদ্বেগ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আলোচনার ক্ষেত্রে চীন বারবার সেনা সরানোর কথা বললেও কাজে ক্ষেত্রে তা কোনোভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আর এমন বাস্তবতাকে বারবার স্যাটেলাইট চিত্র মারফত প্রকাশ করে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক মহল।
তবে চীনের এমন তৎপরতার কথা মাথায় রেখে পিছিয়ে নেই ভারতও। ভারত ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজের ঘর গোছাতে শুরু করেছে। ভারতের তরফ থেকে লাদাখে দুই ডিভিশন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর এই ডিভিশনের সাথেই রয়েছে মাউন্টেন ডিভিশন। এছাড়াও ভারতের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ট্যাঙ্ক ও বিএমপি-২ ইনফ্যান্টারি কমব্যাট ভেহিকেলস। পাশাপাশি মিসাইল ও টি-৯০ ট্যাঙ্কও মোতায়েন করা হচ্ছে।
PLA has deployed over 20,000 troops along LAC, India wary of third division in Xinjiang
Read @ANI Story | https://t.co/rV4dTsaTIh pic.twitter.com/vR9cbKO8xH
— ANI Digital (@ani_digital) July 1, 2020
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন ভারত করোনা মহামারীতে জর্জরিত ঠিক সে সময় ভারত-চীন সীমান্তে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আশঙ্কায় দিন গুনছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতামত, ১৫ই জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে যে সেনা সংঘাত হয় তারপর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে পৌঁছেছে। তারপর আবার গত ২৯ তারিখে ভারত সরকারের তরফ থেকে ভারতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে চীনকে। পাশাপাশি বিভিন্ন চীনা সংস্থা দ্বারা ভারতে নিযুক্ত প্রকল্প থেকে তাদের বরাত বাতিল করা সবকিছু ভাবাচ্ছে চীনকে। আর এসকল চাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করার জন্যই এমন তৎপরতা চীনের।