নিজস্ব প্রতিবেদন : চিন (China) এমন একটি দেশ, যে দেশ নিজেদের দেশের তৈরি জিনিসপত্র অন্যান্য দেশে রপ্তানি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করে থাকে। বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববাজারে চীনের এমন আধিপত্যের কারণে আজ ড্রাগনরা ফুলেফেঁপে উঠেছে। তবে এবার দিওয়ালি (Diwali) হোক বা ধনতেরাস (Dhanteras) সবেতেই শুধু ক্ষতির মুখে চীন। ভারতের চালে এশিয়ার এই দেশের এখন মাথায় হাত।
এমনটা সম্ভব হয়েছে বেশ কিছু কারণে। সেই সব কারণে আসার আগে এই বছর দিওয়ালি এবং ধনতেরাসে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা নিয়ে কতটা আশা সেই সম্পর্কে জানা যাক। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই বছর অন্ততপক্ষে ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন। ব্যবসায়ীদের এমন আশা এবং লক্ষ্যমাত্রা থেকে তাদের শুরু হয়ে গিয়েছে দোকানে জিনিসপত্র রাখা এবং সেগুলি প্রমোট করা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই বিপুল পরিমাণ ব্যবসার সঙ্গে আগে যেমন চীনের জিনিসপত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিল তা এখন নেই। এর পিছনে রয়েছে চীন থেকে আগের মত আর বিপুল পরিমাণে জিনিসপত্র আমদানি না করা। সবকিছু হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে সব মিলিয়ে চীনের এবার এক লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা ক্ষতির মুখে। এছাড়াও ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যেও চীনের জিনিসের প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে এবং স্থানীয় জিনিসের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের সূত্রে।
এই প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, দিওয়ালি বা দীপাবলিতে স্থানীয় জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহকরা এখন মেড ইন ইন্ডিয়ার জিনিসপত্র কিনতে বেশি পছন্দ করছেন। এসবের কারণেই ভারতীয় বাজারে বড় ধাক্কা খাচ্ছে চিনা মার্কেট।
ধনতেরাসে সোনা, রুপো সহ বিভিন্ন ধাতুর অলংকার বা মুদ্রা বা অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার যেমন রীতি রয়েছে ঠিক সেই রকমই ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র অনেকে বাড়িতে কিনে নিয়ে আসেন। এই সকল জিনিসপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে একসময় চীনের একচেটিয়া মার্কেট ছিল। কিন্তু এখন সেই মার্কেট অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। আবার দীপাবলি বা দিওয়ালি বা কালীপুজোর সময় যে আলোর ঝলকানি দেখা যায় তাতেও চীনের একচেটিয়া দখল ছিল। সেই দখলও আস্তে আস্তে কমে তা দখল করছে বিভিন্ন ধরনের মেড ইন ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট।