‘বুম্বা টলিউডকে একা টানলে আমরা কি পার্শ্ব অভিনেতা’, খোঁচা চিরঞ্জিতের

নিজস্ব প্রতিবেদন : সৃজিতের ছবির সংলাপে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, ‘আমি অরুণ চ্যাটার্জি, আমি ইন্ডাস্ট্রি’। আসলে টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি বলতে সবাই একজনকেই বোঝেন, তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একযুগ ধরে প্রসেনজিতের পোশাকি নাম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যে একা ইন্ডাস্ট্রি তা মানতে রাজি নন আরেক অভিনেতা চিরঞ্জিৎ। এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল চিরঞ্জিতের মুখ থেকে।

তবে এই অভিনেতার এই বিস্ফোরক মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে কয়েকটি বছর। জি বাংলার জনপ্রিয় একটি শো ‘অপুর সংসার’-এ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন চিরঞ্জিৎ। সেখানে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘বাংলা বিনোদন দুনিয়া বলে, একটা দীর্ঘ সময় প্রসেনজিৎ একাই টলিউডকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন।’

এমনটা শুনে স্পষ্টভাষী অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিৎ বলে ওঠেন, ‘৩০ বছর। তখন মিঠুন ছিলেন না? ভিক্টর ছিলেন না? তাপস, অভিষেক, আমি ছিলাম না? আমরা কি তা হলে পার্শ্ব অভিনেতা ছিলাম?’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের এই বাউন্সারে উঁচিয়ে ব্যাট করতে দেখা যায় চিরঞ্জিতকে। বাধ্য হয়ে তখন সঞ্চালক বলে ওঠেন ‘না’।

বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিৎ পরে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ওই সংলাপ প্রসেনজিৎ ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে বলেছিলেন। সেটাই লোকের মুখে মুখে ফেরে।’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই চিরঞ্জিতের। তিনি এটাও মেনে নেন যে প্রসেনজিৎ টলিউডকে খুব ভালোভাবে চেনেন। আসলে প্রসেনজিৎ টলিউডে প্রভাবশালী। যে কারণে তার সামনে চট করে কেউ ভালো-মন্দ বলতে সাহস পান না।

অন্যদিকে সম্প্রতি প্রসেনজিৎ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোনোভাবেই তিনি ইন্ডাস্ট্রি নন। একা একটি মানুষ কখনো ইন্ডাস্ট্রি হতে পারে না। তার কথা অনুযায়ী, ‘একটি সংস্থাকে দাঁড় করাতে গেলে এক জন সিইও যা যা করেন, সেগুলোই করার চেষ্টা করে এসেছি। আমি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নই বরং এই ইন্ডাস্ট্রির সিইও’।