Chungthang bridge open: আর কষ্ট নয়! এবার সহজেই যাওয়া যাবে উত্তর সিকিম! চালু হল এই ব্রিজ

Prosun Kanti Das

Published on:

Chungthang bridge has opened for tourist: পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় একটি স্থান হলো সিকিম। কিন্তু গত মাসেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল সিকিমের বেশ অনেকটা অংশ। গত মাসেই হড়পা বানের কারণে সমগ্র সিকিমে যে বিপর্যয় নেমে আসে তার কারণে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি অঞ্চলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চুংথাং সহ বেশ কিছু এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এই যোগাযোগ ব্যবস্থা কি আবার গড়ে তুলতে নতুন করে তৈরি করা হলো ব্রিজ (Chungthang bridge open)।

পর্যটকদের জন্য সিকিমের মূল আকর্ষণীয় জায়গা গুলি উত্তর সিকিমেই অবস্থিত। কিন্তু গত ৪ অক্টোবর লোনাক হ্রদে একটি বড় রকম বিস্ফোরণের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয় তিস্তা নদীর উপত্যকায়। এই কারণেই সেই অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার সঙ্গে ভেসে যায় চুংথাং (Chungthang bridge open) সহ অন্তত ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। তাই গত মাসে ওই বিপর্যয়ের পর সিকিমের পর্যটন স্থান গুলিতে বেড়াতে যাওয়া তো দূর, ত্রাণ সামগ্রী নিয়েও ওই অঞ্চলে যাওয়াও প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।

এই দুর্ঘটনার পর উত্তর সিকিমের সঙ্গে আবার যোগাযোগ ব্যবস্থা করে তুলতে দ্রুত কাজ শুরু করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বা BRO। গত মাসের ১২ তারিখ থেকে শুরু হয় এই কঠিন কাজ। ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তিস্তা নদীর উপর চ্যালেঞ্জিং সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এরপর প্রথম পর্যায়ে ভারতীয় সেনার সহযোগিতায় দুটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ২৭ অক্টোবর থেকেই ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

এই সেতু দুটি নির্মাণ হওয়ার পরেই চুংথাং এলাকায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দেয় ভারতীয় সেনা এবং BRO। হড়পা বানের জেরে সেখানের একমাত্র স্থায়ী সেতুটি ভেসে যাওয়ার কারণে লাচুং এবং লাচেনের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ওই এলাকায় জরুরীভিত্তিতে কাজ করে BRO কর্মীরা ‘ফার ব্যাঙ্ক’ এবং ‘হোম ব্যাঙ্ক’-এ ১৫ মিটার এবং ১২ মিটার উচ্চতার দুটি বিশাল ‘অ্যাবটমেন্ট’ নির্মাণ শুরু করে। অবশেষে সেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় (Chungthang bridge open) হাসি ফুটেছে স্থানীয় মানুষ সহ পর্যটকদের মুখে। চুংথাং এলাকায় ওই সেতু নির্মাণ করার কারণে উত্তর সিকিমের সঙ্গে সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা যাবে বলেই জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে।