Civic Volunteer: মুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরির উদ্যোগ নিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার, গর্বিত বলাগড়বাসী

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Civic Volunteer: মুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরির উদ্যোগ নিল এক সিভিক ভলেন্টিয়ার, গর্বিত বলাগড়বাসী। জীবনে সবথেকে দামি কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা শিক্ষা। এমনটাই বিশ্বাস করেন বলাগড় নিবাসী হীরালাল সরকার। তিনি পেশায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)। আর্থিক অক্ষমতার জন্য কারো পড়াশোনা আটকে যাবে তা হতে পারেনা এমনটাই মনে করেন তিনি। আর তাই দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে নিয়েছেন নতুন উদ্যোগ। শিক্ষার মুক্তাঙ্গনে আহ্বান জানিয়েছেন সমস্ত বলগড়বাসীদের। তৈরি করেছেন এক অবৈতনিক পাঠশালা। স্থানীয় পড়ুয়াদের নিয়মিত পাঠদান করেন সেখানে। হুগলির দুস্থ পড়ুয়াদের কাছে হিরা মাস্টার একমাত্র ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে।

Advertisements

হীরালাল সরকার পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer)। তিনি মূলত ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। হুগলির বলাগড় এলাকার অন্তর্গত নাটাগড়ে এসটিকেকে রোডের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব রয়েছে তার উপর। এই এলাকায় মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাস। যাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। এই সমস্ত পরিবারগুলির পক্ষে তাদের সন্তানদের জন্য গৃহ শিক্ষক রাখা একেবারেই অসম্ভব। নিয়মিত স্কুলের শিক্ষা দেওয়াও সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। কিন্তু শুধুমাত্র আর্থিক অক্ষমতার কারণে এই সমস্ত শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে অন্ধকারে ডুবে না যায় তাই এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। একটি অবৈতনিক পাঠশালা খুলেছেন সেই এলাকাতে। এলাকার সমস্ত পড়ুয়ারা বিনামূল্যে পড়াশোনা করে সেখানে। পাঠদান করেন হীরালাল সরকার নিজেই।

Advertisements

রাস্তার পাশেই পাটকাঠির বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি চালা ঘর। সেখানে প্রতিদিন সকালে বসে পাঠশালা। স্কুলে যাওয়ার আগে স্থানীয় পড়ুয়ারা সেখানে আসেন পড়াশোনা করতে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন পড়ুয়া নিয়মিত আসেন সেখানে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোনরকম বেতন তো নেনই না উপরন্তু নিজের সামান্য বেতন থেকে পড়ুয়াদের জন্য লজেন্স বিস্কুট কিনে দেন সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) হীরালাল সরকার নিজেই। স্থানীয়দের কাছে হিরা মাস্টারের পাঠশালা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

Advertisements

আরো পড়ুন: কলকাতার বুকে জেএসডব্লিউ-এর জাঁকজমকপূর্ণ উড়ান, আকাশছোঁয়া অফিস ভবিষ্যতের শিল্প বিপ্লবের বার্তা

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল হলেই তারা তাদের সন্তানকে হীরার পাঠশালায় পড়তে পাঠান। কারণ তারাও চান তাদের সন্তানকে দশজনের একজন করে তুলতে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে হয়তো তা সম্ভব হয়ে উঠত না। এই পরিস্থিতিতে পাড়ার ছেলে হীরাই তাদের একমাত্র ভরসা। এই অভিনব উদ্যোগে খুশি সকলেই। স্থানীয়দের কথায় সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) হীরালাল সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়।

সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) হীরালাল মনে করেন সমাজের উন্নতি করতে চাইলে একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা। আর তাই স্থানীয় শিশুদের শিক্ষায় যাতে কোন রকম কমতি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা তার দায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি। ২০১০ সালে বলাগড় কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। এরপর যুক্ত হন স্থানীয় থানার অন্তর্ভুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে। সকালে পাঠশালায় পাঠ দান করেন, তারপরে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বিকেলের দিকে বাবার সবজি ব্যবসাতেও হাত লাগান তিনি। হীরার পাঠশালা স্থানীয়দের কাছে যতটা জনপ্রিয়, সিভিক ভলেন্টিয়ার হীরালাল সরকারও কিন্তু কর্মক্ষেত্রে ততটাই জনপ্রিয়শ উচ্চপদস্থ অফিসাররাও তার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

Advertisements