Mid Day Meal corruption: রাজ্য নয়, স্কুলের মধ্যেই মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি! প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের হাতাহাতি

Prosun Kanti Das

Published on:

Clashes in to the school over the mid-day meal corruption: যেখানে খাদ্যাভাব দেখা দেয়, সেখানে শিক্ষা বিলাসিতা। শুধুমাত্র দুবেলা খাবার জোগাড় করার তাগিদেই বহু শিশু শিক্ষার্থী পরিণত হয় শিশু শ্রমিকে। পড়াশোনা করার চেয়েও কাজ করে উপার্জন করাটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে তারা। কিন্তু শিক্ষা সমাজ গঠনের মূল ভিত। সমাজকে সুগঠিত করতে চাইলে প্রত্যেকটি শিশুর সুশিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। আর তাই জন্য সরকারের তরফ থেকে প্রত্যেকটি স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। যাতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে অন্তত ১ বেলা পেট ভরে খেতে পারে। খাবার যোগাড় করার জন্য তাদের স্কুলে আসা বন্ধ না হয়। কিন্তু দুর্নীতির কবলে পড়েছে এই প্রকল্পটিও (Mid Day Meal corruption)।

সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, মাদ্রাসা প্রায় সব ধরনের স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্প চালু রয়েছে। মূলত স্কুল ছুট শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু দুর্নীতির হাত থেকে ছাড়া পাইনি এই প্রকল্পটিও। তবে এই দুর্নীতি শুধুমাত্র রাজ্য স্তরের নয়, চলছে স্কুলের ভিতরেই। এমনই ১ টি ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। মিড ডে মিল প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার এবং ১৫% খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। ২০০৩ সাল থেকে এই প্রকল্প চলছে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে। সম্প্রতি স্কুলের ভিতর চলতে থাকা মিড ডে মিল প্রকল্পের দুর্নীতি (Mid Day Meal corruption) নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক এবং সহশিক্ষক।

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় কোরিয়ালি অফিসে ঘটেছে এমনই ১ টি ঘটনা। স্কুল পরিদর্শকের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা। স্কুলের মধ্যে মিড ডে মিল প্রকল্পের দুর্নীতি (Mid Day Meal corruption) নিয়ে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষক সকলকেই ডাকা হয়েছিল স্কুল পরিদর্শকের অফিসে। সেখানে গিয়েই আলোচনা করার সময় পরিদর্শকের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। এই ঘটনায় বিশেষভাবে সক্ষম প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক আহত হয়েছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পরিদর্শকের সামনেই তিনি সেখানকার চেয়ার তুলে সহ-শিক্ষকদের মারতে উদ্যত হয়েছিলেন।

ঘটনাটি ঘটেছে দুবল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বহুদিন ধরেই দুবল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করছিলেন সেই স্কুলেরই দুজন সহকারী শিক্ষকের নামে। স্কুলের দুজন সহকারী শিক্ষক ভাস্কর মন্ডল এবং শফিকুল ইসলাম স্কুলের মধ্যেই মিড ডে মিল নিয়ে রীতিমতো দুর্নীতি (Mid Day Meal corruption) চালাচ্ছেন, এমনটাই অভিযোগ করেছে প্রধান শিক্ষক। তিনি আরো বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। এই ঘটনার নিষ্পত্তি করার জন্য স্কুল পরিদর্শকের অফিসে ডাকা হয়েছিল ২ পক্ষকেই। নিষ্পত্তি হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ২ পক্ষই। স্কুলের পরিদর্শক মনিরুল ইসলামের সামনেই ঘটেছে ঘটনাটি। আহত হয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনার পর ২ পক্ষই হরিশচন্দ্রপুর থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ করেছেন।

Mid Day Meal corruption

প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করতে গিয়ে বলেছেন, স্কুলে ২ সহশিক্ষক মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি (Mid Day Meal corruption) করছে। সে বিষয়ে বাধা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষকের উপরে তারা চড়াও হয়, তাকে মারধরও করা হয়। উল্টোদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি করছেন প্রধান শিক্ষক স্বয়ং। তাকে বাধা দিতে গেলে তিনি উল্টে সকলকে হুমকি দিচ্ছেন। স্কুল পরিদর্শকের সামনেই তিনি সহশিক্ষকদের গায়ে হাত তোলেন। স্কুল পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল ছাড়াও আরো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সবকিছু নিয়েই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।