নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন চলতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা না হলেও জুলাই মাসের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ফলাফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে তা জানানো হলো শুক্রবার।
মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়ে এদিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদ যৌথভাবে বৈঠক করে। আর সেই বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় কিভাবে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। বৈঠকে দুই ক্লাসের পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পর্ষদের তরফ থেকে ঘোষণা করা পদ্ধতি অনুযায়ী কিভাবে নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থীরা চলুন দেখে নেওয়া যাক।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা নম্বর পাবেন ৫০-৫০ গুরুত্ব সহকারে। ২০১৯ সালের নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে ওঠার ক্ষেত্রে নবম শ্রেণীর মার্কশিট এবং দশম শ্রেণীর ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্টে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ এই দুই ক্ষেত্রের নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর। তবে কোনো পরীক্ষার্থী যদি সেই নম্বরে সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি পরে পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে গণ্য করা হবে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় চারটি বিষয়ের নম্বর বেছে নেওয়া হবে। যে বিষয়গুলিতে ওই পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিলেন। সেই চার বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরের ৪০% এবং ২০২০ সালের পরীক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ৬০% নম্বর দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। এর সাথে যোগ হবে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রজেক্ট এবং প্র্যাকটিক্যালের নম্বর।
প্রজেক্ট এবং প্র্যাকটিক্যালের নম্বর হিসাবে বলা হয়েছে প্রজেক্টের ২০ নম্বর এবং প্র্যাকটিক্যালের ৩০ নম্বর ধরে মূল্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রেও যদি কোনো পরীক্ষার্থী মূল্যায়নে খুশি না হন তাহলে তিনি পরবর্তীকালে পরীক্ষায় বসতে পারবেন এবং সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর চূড়ান্ত নম্বর হিসেবে গণ্য করা হবে।