নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষিকাদের মধ্যে লড়াই আর সেই লড়াইয়ের মাঝে পড়ে পড়াশুনা লাটে উঠলো পড়ুয়াদের। এমন অরাজকতায় পড়াশুনা লাটে উঠেছে দুদিন থেকে। পড়ুয়ারা স্কুলে এলেও পড়াশোনা হচ্ছে না। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum News) বোলপুরে। ঘটনা বোলপুরের শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের। যে স্কুলের শিক্ষিকাদের বড় অংশ দুদিন ধরে ধর্ণায় রয়েছেন।
ওই স্কুলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ হিসেবে স্কুলের শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদের বড় অংশ অভিযোগের আঙুল তুলছেন এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এছাড়াও এই ধর্ণায় শামিল হয়েছেন প্রধান শিক্ষিকাও। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই শৈলবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এখন তাল পেকেছে। শিক্ষিকাদের এমন লড়াইয়ে পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পড়ুয়ারা।
স্কুলের প্রায় ১৮ জন শিক্ষিকার অভিযোগ অপর্ণা সরকার নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। যে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তিনি ২০০৯ সালে ওই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথমদিকে স্কুলের পঠন পাঠন থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত রকম কাজ ঠিকঠাক করলেও পরবর্তীতে তিনি প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাতি নিয়ে কথা বলার অভিযোগ তোলেন। প্রধান শিক্ষিকা রুবি রায়ের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তবে সেখানে কোন সুবিধা পাননি।
আদালতে দ্বারস্থ হয়ে সুবিধা না পাওয়ার পর তিনি এখন স্কুলে বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে অন্যান্য শিক্ষিকাদের তরফ থেকে। অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা কোনভাবেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস নেন না। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্নভাবে স্কুলে যাতে সমস্যা তৈরি হয় সেই দিকে অবিরত কাজ করে চলেছেন। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আনছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Birbhum News: পাকা চুল দেখে বুড়ো ভেবে টাকা হাতাতে এসে বোকা হলেন তিন যুবক
অপরদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা অপর্ণা সেন দাবি করেছেন, তাকে শুধু জাতিবিদ্বেষ মূলক কথা বলে আক্রমণ করা হয়েছে এমন নয়। এর পাশাপাশি স্টাফ রুমে থাকা অবস্থায় তাকে অন্য এক শিক্ষিকা বেদম মারেন। যে ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে থানাতেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন এবং থানার পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলের শিক্ষিকারা এখন ধর্নায় বসে পুরো বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান চাইছেন। এই বিষয়ে তারা শিক্ষা দপ্তর থেকে শুরু করে জেলা শাসক দপ্তর সমস্ত জায়গাতেই দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ধরনায় বসা শিক্ষিকাদের দাবি, কি হয় দেখা যাক। কেননা এই ঘটনার সমাধান না হলে স্কুল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা একেবারেই অসম্ভব।