ঘূর্ণিঝড় আমফানে মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে সাহায্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রকোপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ। গত রাতের ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ আয়লার গতিবেগকেও ছাপিয়ে যায়। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা। ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখনো পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বৃহস্পতিবার নবান্ন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।

Advertisements

Advertisements

এই ৭২ জন মানুষ কোথায় কোথায় মারা গেলেন তা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতাতেই এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। হাওড়া জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আর বাকিদের মৃত্যুর খবর এসেছে অন্যান্য জেলা থেকে। আর এই সকল মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “এই দুর্যোগে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে সহানুভূতি জানানোর ভাষা নেই আমার৷ তবু যদি এই টাকাগুলি পেয়ে কিছুটা উপকার হয়৷”

Advertisements

কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও হুগলিতে মৃত্যু ৪ জনের, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬ জন, মেদিনীপুরে ২ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১ জন, নদিয়ায় ৪ জন, সুন্দরবনে ৪ জন, ডায়মন্ড হারবার থেকে ৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬ জন, রানাঘাট থেকে ৬জন ও বারুইপুর থেকে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭ দিনের মধ্যে সার্ভে করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন পুকুরগুলিকে পরিষ্কার করার কথা। এছাড়াও রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা গাছগুলিকে কেটে সরানোর জন্য তিনি ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ দেন ক্লাবগুলিকে দিয়েও কাজ করানোর।

Advertisements