মোদি না মমতা, কে বেশি অপমানিত, কি বলছে অপমানের তরজা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী রিভিউ বৈঠক নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। প্রধানমন্ত্রীর আসা এবং সেখানে অপেক্ষা করা নিয়েই এই তর্জার সূত্রপাত। বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে বিঁধেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রত্যেকেই এক সুরে দাবি করেছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও মুখ্যমন্ত্রী নক্কারজনক ও সংকীর্ণ রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে অপমানজনক আচরণ করেছেন।

Advertisements

যদিও বিজেপির তরফ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও তৃণমূল এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীই অপমান হয়েছেন এমনটাই দাবি করেছে। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন হল অপমানিত কে? কি বলছে মোদি মমতার অপমানের তরজা।

Advertisements

অপেক্ষা

Advertisements

বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রিভিউ বৈঠকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।

তৃণমূলের দাবি, আবহাওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পৌঁছাতে ২০ মিনিট দেরি হয়েছিল। কিন্তু কলাইকুন্ডা পৌঁছানোর পর মুখ্যমন্ত্রীকেই ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।

রিপোর্ট

বিজেপির দাবি, রিভিউ বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট দিয়েই চলে আসেন।

তৃণমূলের দাবি, রিপোর্ট দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছালে বলা হয় রিভিউ বৈঠক চলছে। এটা অপমানজনক।

ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন

প্রধানমন্ত্রীর সামনে আমলাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির তরফে।

এই অভিযোগকে খন্ডন করে তৃণমূলের দাবি, দীঘায় পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচি থাকার কারণে চলে আসতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সাথে দাম্ভিক আচরণ

বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ইয়াস ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রিভিউ বৈঠক এবং অন্যান্য কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কুৎসিত, অপমানজনক এবং দাম্ভিক আচরণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[aaroporuntag]
তৃণমূলের তরফ থেকে এই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দাবি করা হয়েছে, সন্ধ্যা নেমে গেলে আর কপ্টার উড়বে না। যে কারণে কলাইকুন্ডা থেকে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisements