নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে আর দিন নেই, পুজো নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে ব্যস্ততা। আর এই ব্যস্ততা এবং পুজোর আবেগে বেশিরভাগ মানুষ ভুলতে বসেছেন করোনা পরিস্থিতির কথা। আর যদি মানুষ এই পরিস্থিতির কথা ভুলে আবেগে মেতে ওঠেন তাহলে পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাবে তা নতুন করে বলার নয়। পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী উদাহরণস্বরূপ চোখের সামনে রয়েছে কেরল, যেখানে করোনা সংক্রমণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও ওনাম উৎসবের পর সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দ্বিগুণ মাত্রায়। আর এই কারনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার পুজো নিয়ে, সতর্কতাবিধি নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার নবান্ন থেকে জানান, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, আর তা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পুজো কমিটিগুলিকে পুজো শুরু থেকে করোনা সতর্কতা নিয়ে প্রচার করতে হবে। মাস্ক না পড়লে যেন প্যান্ডেলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া না হয়।
এর পাশাপাশি তিনি স্যানিটাইজ করার পরামর্শও দেন। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর সময় ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত হেল্পলাইন চালু করার কথা জানান। যে হেল্পলাইনে রাজ্যের বাসিন্দা যেকোনো সময় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন।
পুজো শুরু হওয়ার মাসখানেক আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়। যে নির্দেশিকায় চলতি বছর উৎসবে মানুষকে কিভাবে চলাফেরা করতে হবে তা সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আবারও মনে করিয়ে দেন সেই সকল বিধিনিষেধ পুজো কমিটি এবং দর্শনার্থীদের মেনে চলার জন্য।
অন্যদিকে একই ভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে চলতি বছর উৎসব না করে পুজো করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সুতরাং ইনাদের কথা অনুযায়ী এবছর পুজোয় সংক্রমণ নিয়ে সকলেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতে বর্তমানে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু বিপরীতভাবে পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মানুষের বাজারমুখী হওয়া এবং সতর্কতা মেনে না চলাকেই দায়ী করেছেন।