নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোক্ষম চাল রাজ্যের শাসকদলের। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা প্রসঙ্গে এমনটাই মত পোষণ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে এদিন সার্বজনীন করার ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্প বেশ কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হলেও এযাবৎ এই প্রকল্প রাজ্যের প্রতিটি পরিবার পেতেন না। তবে এবার এই প্রকল্প সার্বজনীন অর্থাৎ প্রতিটি পরিবার পাবেন বলেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাত কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে সকল ব্যক্তিরা কোন রকম স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পান না তারা চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুযোগ পাবেন। পরিবারের গৃহকর্ত্রীর নামে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ইস্যু করা হবে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই সুবিধার আওতায় থাকবেন। এই প্রকল্পের সম্পূর্ণটাই ক্যাশলেস। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও রাজ্যের দেড় হাজার হাসপাতাল ও নার্সিং হোমকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন?
কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে এই প্রকল্প চালু থাকলেও এযাবৎ সমস্ত পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না। এবার এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন রাজ্যের প্রতিটি পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “রিক্সাওয়ালা, টোটোওয়ালা, ইটভাটার কর্মীরা, ড্রাইভাররা সবাই পাবেন।”
প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার পদ্ধতি
এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১লা ডিসেম্বর ২০২০ থেকে। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামে ব্লকে ব্লকে যে ক্যাম্প করা হবে সেই ক্যাম্পের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সঠিক সময়ে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কাজ পৌঁছে যাবে বাড়িতে।