নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গা পুজোর আগে প্রতিবছরের মতো এবছরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিকে নিয়ে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক করলেন। এই বৈঠকে একাধিক আর্থিক ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এবছরের অর্থাৎ করোনাকালে সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে দুর্গাপূজা নিয়ে বেশ কতকগুলি নির্দেশিকার কথা জানালেন।
আবাসনের পুজো ছাড়া রাজ্যে এবছর ৩৭ হাজার পুজো হচ্ছে। কলকাতা বাদে রাজ্যজুড়ে পুজোর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৪৭টি। কলকাতায় ২ হাজার ৫০৯টি এবং গোটা রাজ্যে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত পুজো হচ্ছে ১ হাজার ৭০৬টি।
নির্দেশিকা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, মানুষের কথা মাথায় রাখতে হবে, যাতে কেউ বিপদে না পড়ে তার জন্য অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। পুজো মণ্ডপ প্রসঙ্গে দেবী দুর্গার চালা ঢাকা রেখে বাকি খোলা রাখার পরামর্শ দেন। প্রয়োজন পড়লে ছাদ ঢেকে বাকি অংশ খুলে রাখতে হবে।
প্যান্ডেলে যেন প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে পুজো কমিটিকে। ভিড় এড়াতে মণ্ডপে প্রবেশ এবং বাহির ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয় এবং কড়া নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়।
সম্ভব হলে স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে চকের দাগ কেটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করার কথা জানানো হয়।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। প্যান্ডেলের এক কিলোমিটার বা কম করে ৫০০ মিটার কাছে গেলেই মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক।
ভিড় এড়াতে মাইকে অঞ্জলির মন্ত্র পড়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি সিঁদুরখেলা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন একসাথে সবাই মিলে সিন্দুর না খেলে গ্রুপ করে দু-তিন ভাগে তা করা যেতে পারে।