নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) মামার বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামে। যেখানে মঙ্গলবার অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি সংলগ্ন তিনটি সংসদের মধ্যে দুটিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। আর এবার এর থেকেও বেশি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে গেল পঞ্চায়েত সমিতির ফলাফলে।
পঞ্চায়েত সমিতির ফলাফল অর্থাৎ ভোট গণনার সময় হঠাৎ জানা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার ছেলের বউ পম্পা মুখার্জি ৬ ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। এই জয়লাভের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দের সঙ্গে সবাই চলে আসেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই যে খবর আসে তাতেই পাশা উল্টে যায়। দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার ছেলের বউ পম্পা মুখার্জি অর্থাৎ তৃণমূল প্রার্থী নয় বরং সেখানে ৩৬ ভোটে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখার্জী।
সুদেষ্ণা মুখার্জী জানিয়েছেন, “ভোট গণনার সময়ই হিসাব না করেই নিজেরা ৬ ভোটে জিতেছেন এমন দাবি করে লাফাতে লাফাতে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এবার আমরা যখন হিসাব করি তখন দেখতে পাই আমরা এগিয়ে রয়েছি। সবাই বাড়ি চলে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসেন। এখন পুরো হিসাব না করে কেউ নিজেকে জয়লাভ ঘোষণা করলে কি করা যায়।”
বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করা সুদেষ্ণা মুখার্জিও আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তবে তিনি তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে কুসুম্বা পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নিজের পরিচয় প্রসঙ্গে সুদেষ্ণা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জির মাসির ছেলে।’ এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের অপশাসন নিয়ে বলেন, ‘সবাই দেখছে আর এখন সবাই ছিঃ ছিঃ করছে।’
তবে কেন এমন ঘটনা ঘটলো, ৬ জয়লাভ করার আনন্দে যখন বাড়ি ফিরেছেন সেই সময় কিভাবে সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল প্রার্থী পম্পা মুখার্জি অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামার ছেলে স্ত্রী কিছু জানাননি। তিনি শুধু একটি কথায় জানিয়েছেন, ‘এত নন্দীগ্রামের মতো ঘটনা ঘটলো। আমি এখন কিচ্ছু বলবো না।’