Purulia Trip: পুজোর ছুটিতে মন ভালো করতে ঘুরে আসুন পুরুলিয়ার এই ছোট্ট গ্রামটি থেকে

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Purulia Trip: সামনেই আছে উৎসবের মরশুম, আর এই মরশুমেই যদি দু-একদিনের জন্য বেরিয়ে পড়া যায় কাছের কোন জায়গায় তাহলে তো কথাই নেই। পর্যটকদের কাছে পুরুলিয়া জায়গাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে গেলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে উপভোগ করা যায়। দলমা পাহাড়ের কোলে সবুজ জঙ্গল ছুঁয়ে দেখতে পাবেন বিভিন্ন কটেজ এবং কিছুটা দূরেই সাতগুড়ুম নদী। আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরব পুরুলিয়ার এক অপরূপ সৌন্দর্য।

Advertisements

পুরুলিয়া (Purulia Trip) ঘুরতে গেলে এখানকার পাহাড় এবং টিলায় আপনি ময়ূর ঘুরে বেড়াতে দেখবেন। কখনো কখনো ঝাড়খন্ড থেকে আসা কিছু হাতির দলও চোখে পড়ে যায়। এমনকি জঙ্গলে দেখা মিলতে পারে নেকড়েও। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে চিতল হরিণ। পূজোর ছুটিটা যদি আরো রোমাঞ্চকরভাবে কাটাতে চান তাহলে পুরুলিয়া চলে আসুন অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের স্বাদ নিতে।

Advertisements

পুজোর ঠিক আগেই অর্থাৎ ৭ই অক্টোবর থেকে অবশেষে দরজা খুলে যাচ্ছে বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির থরকাদহ-দুয়ারসিনি পর্যটন প্রকল্পের(Purulia Trip)। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, কলকাতার একটি সংস্থাকে লিজ দিয়ে এই পর্যটন ব্যবসা চালানো হবে। বান্দোয়ানের বিডিও তথা বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাহী আধিকারিক রুদ্রাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পর্যটন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ৭ই অক্টোবর থেকে। খুব শীঘ্রই পঞ্চায়েতের ট্যুরিজম পোর্টালে এই প্রকল্প সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবে সকলে। পর্যটন দপ্তরের অর্থে এই প্রকল্প নির্মাণ হয়েছে। প্রায় শেষের দিকেই পৌঁছে গেছে সমস্ত কাজকর্ম।

Advertisements

প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত বছর শীতকালেই খুলে দেওয়া হবে এই পর্যটন কেন্দ্রের দরজা। কিন্তু কাজের শিথিলতা প্রকল্পটি শুরু হতে দেরি করিয়ে দেয়। যদি একবার পুরুলিয়ার এই পর্যটন কেন্দ্রটি (Purulia Trip) জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে তাহলে দক্ষিণ প্রান্তের ট্যুরিজম সার্কিট আরও প্রসারিত হবে। বনমহলের এই জেলার দক্ষিণ প্রান্তের ট্যুরিজম সার্কিট বলতে মানবাজার এক নম্বর ব্লকের দোলাডাঙ্গা, মানবাজার দুই ব্লকের একাধিক পর্যটন প্রকল্প সেই সঙ্গে বান্দোয়ানের দুয়ারসিনি রয়েছে। দুয়ারসিনির আরও ভিতরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে এই পর্যটন প্রকল্প রীতিমতো অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম। তাই বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসন এই প্রকল্পকে অফবিট ট্যুরিজম হিসাবেই তুলে ধরছে। এখানে পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম।

আরো পড়ুন: পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে হারিয়ে যান পুজোর ছুটিগুলোতে, খরচ হবে একেবারে কম

পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলার (Purulia Trip) বান্দোয়ানকেই বাইক রাইডিং-র ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দলমা পাহাড়ের কোলে দু’পাশে শাল, শিমূল, পলাশ, কুসুম জঙ্গলের বুক চিরে কালো পিচ রাস্তায় বাইক রাইডিং-র যে মজা পাওয়া যায় তা সত্যি অতুলনীয়। তাই থরকাদহ ট্যুরিজম পর্যটন প্রকল্পের সঙ্গে অরণ্য সুন্দরী বান্দোয়ানকে ‘হেভেন ফর বাইকারস’ বলে সম্বোধন করেছেন প্রশাসন। বেশ কিছুদিন আগে বান্দোয়ানে ভালু পাহাড়ের কোলে ভিলেজ ট্যুরিজম চালু হয়েছে। টটকো জলাধার ছুঁয়ে এ এক অন্যরকম পর্যটন। বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি থরকাদহ-দুয়ারসিনি পর্যটন প্রকল্পে থাকতে চায় তাহলে তাকে যোগাযোগ করতে হবে বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে। শীঘ্রই ব্যবস্থা করা হচ্ছে ওয়েবসাইট এবং অফিসিয়াল পোর্টালের মাধ্যমে যাতে বুকিং সম্পন্ন করা যায়।

দলমা পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্র সত্যিই অদ্ভুত। প্রকৃতির হাতছানি উপেক্ষা করা সত্যিই কঠিন। আগে অবশ্য এই এলাকাটি ছিল মাও মুক্তাঞ্চল। বাংলার শেষ সীমানায় অবস্থিত এই পাহাড় জঙ্গল-ই বর্তমানে জনপ্রিয় পর্যটনের ক্ষেত্র। পুরুলিয়ার পর্যটনের এই দক্ষিণ সার্কিটের সঙ্গে ছুঁয়ে রয়েছে দক্ষিণ বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের পর্যটনের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের গালুডি, ঘাটশিলাও। এখানকার স্থানীয় খাবার এই পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ। যার মধ্যে নজরকাড়া দুয়ারসিনির কড়া পাকের জিলাপি।

Advertisements