অমরনাথ দত্ত : আগস্ট মাস থেকে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাজার জল ঘোলার পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার থেকে পুনরায় পৌষ মেলার মাঠ ঘেরার কাজ শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে এবার পাঁচিল নয়, ফেন্সিং করা হবে বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর এর মধ্যেই ফের একবার গন্ডগোলের আশঙ্কা করছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যে কারণে তড়িঘড়ি বীরভূম জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সোমবার একটি প্রেস বিবৃতিতে জারি করে জানানো হয়েছে, ১৭ ই আগস্টের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অর্থাৎ সেদিন যেমন বুলডোজার নিয়ে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী গেট ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তেমন অশান্তি পুনরায় হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই বীরভূম জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে ১৪৪ ধারা জারির আর্জি করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন আশঙ্কা করতে শুরু করলো?
গতকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকে পৌষ মেলার মাঠ ফেন্সিং করার কাজ শুরু করার পর হঠাৎ করেই বিকাল থেকে দেখা যায় ‘পৌষ মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি’ তরফ থেকে বোলপুর শহরের মাইকিং করে প্রচার করে ফের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই এমন আশঙ্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
আর এই আশঙ্কা থেকে বীরভূম জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারকে ১৪৪ ধারা জারি করার আর্জি পাশাপাশি শান্তিনিকেতন থানায় থানার ওসিকে লিখিতভাবে ১৪৪ ধারা জারি করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।
আর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ১৪৪ ধারা জারির আর্জি পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে উঠেছে বীরভূম পুলিশও। ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। অন্যদিকে বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি মেলার মাঠে জমায়েত করতে শুরু করেছে পৌষ মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটির সদস্যরা। যদিও তারা বাউল গানের মধ্য দিয়ে এবং মুখে কালো ব্যাজ সেটে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথে এদিন হেঁটে চলেছেন।