নিরাপত্তার খাতিরে বসন্ত উৎসবের দিন বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জনসাধারণের

অমরনাথ দত্ত : গত বছরের বসন্ত উৎসবে তিক্ত অভিজ্ঞতার পর এবছর কড়া পদক্ষেপ নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বসন্ত উৎসবের দিন বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা থাকছে। সেদিন সকাল ছয়টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস চত্বর। তবে অন্যান্য বছরের মতো বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা ও বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা প্রবেশ করতে পারবেন।

এ বছর বিশ্বভারতী বা শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব নিয়ে প্রথম থেকেই টালবাহানা দেখা যায়। যে টালবাহানার সমাপ্তি হয় দফায় দফায় রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা ও জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকে। দফায় দফায় বৈঠক অবশেষে শান্তিনিকেতনের এই বসন্ত উৎসবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি মিলে আর্থিক ও প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা করার। সেইমতো দোলের দিনে এবছর বসন্ত উৎসব হচ্ছে পৌষ মেলার মাঠে। ইতিমধ্যেই জেলার প্রশাসনিক কর্তারা থেকে শুরু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার মাঠ পরিদর্শন করেছেন, ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাজান হচ্ছে পৌষ মেলার মাঠকে।

এরপরেও সোমবার বিশ্বভারতী লিপিকা গৃহে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাথে নতুন করে একটি বৈঠক হয় বীরভূম জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের। যে বৈঠক শেষে বিশ্বভারতীর কোট মেম্বার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি জানান, “ভিড় সামাল দিতে বিশ্বভারতীর আশ্রমের মাঠ থেকে বসন্ত উৎসব সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পৌষ মেলার মাঠে। সকাল ৬ টা থেকে টোটাল বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস সিল হয়ে যাবে। ক্যাম্পাসের মধ্যে গতবারে মদ খেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে যা করেছিল, সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার বৈঠকে ঠিক হয়ে গেল সকাল ৬ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত একেবারে বন্ধ থাকবে ক্যাম্পাস। বিশ্বভারতীর আই কার্ডের পরিপেক্ষিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা ও বসন্ত উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকতে পারবেন। জনসাধারণকেও এদিন ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকতে পারবেন না।”