Metro Service: মেট্রো হল কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং দ্রুততম পরিবহণের মাধ্যম। এটি কলকাতার প্রায় সমস্ত অংশকে সংযুক্ত করে। যাত্রীরা দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতায় প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারে. এবং তাও খুব সস্তা মূল্যে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪ঠা মার্চ, ২০২৪-এ হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত কলকাতা মেট্রো গ্রিন লাইনের অংশ হিসাবে ভারতের প্রথম জলের নীচে মেট্রো রুট উদ্বোধন করেছিলেন৷ আসলে কলকাতা মেট্রোর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং এটি ভারতে মেট্রো পরিষেবায় (Metro Service) অগ্রগামী।
বর্তমানে ব্যস্ত জীবন অনেকটাই মেট্রোর উপর নির্ভরশীল। অগণিত যাত্রীরা খুব কম সময়ের ব্যবধানে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মেট্রোর উপরই ভিত্তি করে যাতায়াত করেন। তবে চলতি সপ্তাহে যে সমস্ত যাত্রীরা মেট্রো পরিষেবা (Metro Service) উপর ভরসা করে সময়ের মধ্যে তার কর্মস্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন তারা এক বিরাট অসুবিধায় পড়তে চলেছেন। তার কারণ চলতি সপ্তাহে দুটি মেট্রো উপলব্ধির মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়তে চলেছে।
ইতিমধ্যে সোমবার অর্থাৎ ২৩ শে ডিসেম্বর থেকে মেট্রোর সংখ্যা কমেছে। প্রায় আপডাউন মিলে ৪০টি কম। তাই সকালের দিকে ৭ মিনিটের ব্যবধানের পরিবর্তে ব্যবধান বেড়ে করা হয়েছে ১৪ মিনিট। যদিও ৭ মিনিটের ব্যবধানেই মেট্রো চালানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে মেট্রোর ব্যবধান ১০-১২ থেকে শুরু করে ১৪ মিনিট পেরিয়ে যাচ্ছে। তার প্রধান কারণ হলো আপডাউন মিলে ৪০টি মেট্রো কম চলছে এই লাইনে।
আরও পড়ুন:Christmas: বড়দিনে পার্কস্ট্রীট যাবেন, বাড়ি ফেরা চিন্তা, কলকাতা মেট্রো দিল সমাধান
দমদমের পরিবর্তে প্রায় সব ট্রেনই চলবে দক্ষিণেশ্বরের দিকে। এতে যাত্রীদের ট্রেন সংক্রান্ত সুবিধা হলেও মেট্রো জন্য অসুবিধায় পড়তে হবে। তার কারণ এর আগে ৬ মিনিটের ব্যবধানেও মেট্রো পাওয়া যেত। তবে ৪০টি মেট্রো কমে যাওয়ায় বর্তমানে মেট্রো সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৬ টি। আর সময় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ৭ মিনিট থেকে বেড়ে তা প্রায় ১৪ মিনিটে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার জানিয়েছেন যে বর্তমানে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্যই এই বদল আনা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তা পরিবর্তন করা হবে।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন যাত্রীরা। তার কারণ এর আগে একবার শোনা যাচ্ছিল মেট্রো ব্যবস্থা (Metro Service) বেসরকারীকরণ করা হবে। আবার এখন যাত্রীদের কোনো রকম ভাবে সতর্ক না করেই ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে নিত্য যাত্রীরা যে কতটা অসুবিধায় পড়ছে তা বুঝতেও পারছে না মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।