Bangladesh vs Pakistan Army: সেনা বা অর্থনীতিতে ভারতের সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কোন দেশ, বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Bangladesh vs Pakistan Army: যেকোন দেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র তার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির বর্ণনা দেয়। বর্তমানে ভারতের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়, কারণ ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের জন্য উদ্বেগজনক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্তমানে প্রত্যেকটি মানুষই অবগত। বাংলাদেশের কোটা আন্দোলন শীঘ্রই পরিণত হয়েছে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে। যার পরিণতি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস।

Advertisements

যে ছাত্রদের সমর্থনে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, আজকের ছাত্ররাই আবার বিদ্রোহে অবতীর্ণ হয়েছেন তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। ভারতের কড়া নজর রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেখানকার সংখ্যালঘুদের দিকে। কোন একসময় বাংলাদেশ ভারতের মিত্র দেশ ছিল কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের (Bangladesh vs Pakistan Army) আর্থিক পরিস্থিতি এবং সৈন্য সংখ্যার ভিত্তিতে কার স্থান এগিয়ে সেটাই এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হবে।

Advertisements

সম্প্রতি বাংলাদেশ ১৪৫টি দেশের মধ্যে সেনাবাহিনীর দিক থেকে ৩৭ নম্বরে রয়েছে এবং ৯ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। ভারত বর্তমানে সৈন্য ক্ষমতার দিক দিয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। সম্প্রতি ভারতের ১৪.৪৪ লক্ষ সক্রিয় সেনা রয়েছে এটি হলো বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। পাকিস্তানের সেনা এর তুলনায় অর্ধেক এর কম। ভারতের প্যারামিলিটারি ফোর্সে রয়েছে মোট ২৫,২৭,০০০ জন সৈনিক। অন্যদিকে আবার পাকিস্তানের কাছে রয়েছে মাত্র ৫ লক্ষ সৈনিক। এছাড়াও, ৪৫০০ টি ট্যাঙ্ক, ৫৩৮ টি সেনা বিমান, সুপারসনিক মিসাইল, পারমাণবিক অস্ত্র সবদিক থেকে বিচার করতে গেলে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের (Bangladesh vs Pakistan Army) তুলনায় ভারত অনেকটাই এগিয়ে।

Advertisements

ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মোট সক্রিয় সৈন্যসংখ্যা (Bangladesh vs Pakistan Army) হল ১,৭৫,০০০ জন। এই সৈন্যদের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত রক্ষা বাহিনী এবং ভূখণ্ড রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়াও আছে ১৩,১০০ সাঁজোয়া গাড়ি, ২৮১ টি ট্যাঙ্ক, ৩০ টি স্বয়ংক্রিয় কামান, ৩৭০ টো আর্টিলারি, ৭০ রকেট আর্টিলারি। তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক বছর তাদের সেনাবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করে। যদি বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে তুলনা করা হয় তাহলে পাকিস্তান বাংলাদেশের থেকে অনেকাংশেই এগিয়ে। পাকিস্তানের সক্রিয় সেনার সংখ্যা ৬,৫৪,০০০ এর থেকেও বেশি। পাশাপাশি তাদের কাছে রয়েছে ১,৪৩৪ টি বিমান, ৬০ টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট, ৪ টি এরিয়াল রিফুয়েলার বিমান। পাকিস্তানের কাছে রয়েছে ৩,৭৪২ টি ট্যাঙ্ক এবং ৫০ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র যান। এছাড়াও আছে ৬০২ টি রকেট লঞ্চার, ৭৫২ টি সেল্ফ প্রোপেল্ড আর্টিলারি, ২ টি বিধ্বংসী পোর্ট, ৪ টি সাবমেরিন, ১১৪ নৌবাহিনীর জাহাজ, ৩৮৭ টি ফাইটার জেট। পাকিস্তানের সেনার ক্ষমতা এতটাই জোরালো যে সহজেই টেক্কা দিতে পারবে বাংলাদেশকে।

আরো পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারে কঠিন পরিস্থিতি, টাকার অভাব কাটাতে ধার চাইছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশী বিগত চার বছর ধরে জনপ্রতি ইনকাম ভারতের তুলনায় বেশি রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের জনপ্রতি ইনকাম ২,৬৮৮ ডলার। পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৪ বছর, আবার ভারতে মানুষের গড় আয়ু হল ৬৮ বছর। তবে বাংলাদেশের আর্থিক পরিস্থিতি বর্তমানে ছাত্র আন্দোলনের জন্য একেবারে তলানিতে এসে থেকেছে। চলতি বছর জনপ্রতি আয় হলো প্রায় ২,৬৫০ ডলার। তবে ভারতীয় মূল্য তুলনায় বাংলাদেশের মূল্য বিশ্ববাজারে অনেকটাই কম।

যদি আর্থিক দিক থেকে ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করা হয় তাহলে বাংলাদেশের থেকেও অর্থনীতিতে নড়বড়ে অবস্থা চলছে পাকিস্তানের। ২০২৪ এ ভারতের জিডিপি যেখানে রয়েছে ৩৩৯৭ আরব ডলার, সেখানে পাকিস্তান ধুঁকছে ৩৩৮ আরব ডলার জিডিপিতে। পাকিস্তানের মোট ঋণের পরিমাণ অবাক করবে আপনাকে যা হলো ২৭১.২ বিলিয়ন ডলার থেকেও অনেক বেশি। চলতি বছরের শেষে পাকিস্তানের জিডিপি পৌঁছাতে পারে ৩৪৭.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটিশ অর্থনীতিকে পেছনে ফেলে বর্তমানে গোটা বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে ভারত। ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমিতে পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে ভারত সরকারের। অন্যদিকে ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ভারতের এই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপরে রয়েছে ভারতের কড়া নজর।

Advertisements