কে কিনেছিলেন লটারির টিকিট! অনুব্রত নাকি অন্য কেউ! মুখ খুললেন বিক্রেতা

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকা যেটা নিয়ে শুক্রবার ফের সরগরম হয়েছে জেলা তথা রাজ্য। মূলত যে দোকান থেকে এই লটারির টিকিট বিক্রি হয়েছিল সেই দোকানে শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকরা হানা দেয়। হঠাৎ করে ওই দোকানে হানা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এমন সরগরম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, সত্যিই কি অনব্রত মণ্ডল যে লটারি টিকিটে কোটি টাকা জিতেছিলেন সেটি তিনি কিনেছিলেন? নাকি পুরো বিষয়টি সাজানো অথবা কালো টাকা সাদা করার ছক। বিষয়টি নিয়ে এদিন বোলপুরের ওই লটারি দোকানে হানা দেওয়ার পাশাপাশি ওই লটারির দোকানের মালিককে রতন কুঠির অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়।

ওই লটারির দোকানের মালিক শেখ আইনুল সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, তিনি হলেন মেন ডিলার এবং তার কাছ থেকে বিভিন্নজন লটারি টিকিট নিয়ে যান। তারা আবার সেই সকল লটারির টিকিট বিভিন্নজনকে বিক্রি করে থাকেন। যে টিকিট এমন পুরস্কার লেগেছিল সেই টিকিটটি তিনি বিক্রি করেছিলেন রঞ্জিত বাগদী নামে একজন বিক্রেতাকে।

তিনি কাকে ওই টিকিট বিক্রি করেছিলেন সেই উত্তর তিনি দেওয়ার পাশাপাশি এটাও জানিয়েছিলেন, ওই টিকিট যে পুরস্কার মূল্য পাওয়া গিয়েছিল সেই পুরস্কার মূল্যের টাকা কিন্তু তার দোকান থেকে ভাঙ্গানো হয়নি। ওই টাকা অন্য কোথাও থেকে ভাঙানো হয়েছিল।

এখন প্রশ্ন হল এই রঞ্জিত বাগদি কে? তিনি হলেন শেখ আইনুলের মতই একজন টিকিট বিক্রেতা। তিনি হলেন সাব স্টকিজ। তিনি আবার তার দোকান থেকে বিভিন্নজনকে টিকিট বিক্রি করেন তারা আবার বিভিন্ন জনকে টিকিট বিক্রি করে থাকেন। জানুয়ারি মাসে যখন অনুব্রত মণ্ডলের লটারিতে কোটি টাকা জেতা নিয়ে জেলায় হইচই শুরু হয়েছিল সেই সময় রঞ্জিত বাগদি জানিয়েছিলেন, “আমার দোকানে ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ প্রথম পুরস্কার লেগেছিল। আমি একজন সাব স্টকিস্ট। আমার কাছ থেকে অনেক ছোট ছোট বিক্রেতা টিকিট নিয়ে যান এবং তারা সেগুলি বিক্রি করেন। সেইরকমই কাকা বলে একজন টিকিট নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তার টিকিট থেকেই সেই প্রথম পুরস্কার লেগেছিল। এখন কে সেই টিকিট কিনেছিলেন তা বলতে পারব না।”