নেতাজির প্রয়াণ দিবস নিয়ে টুইট কংগ্রেস ও বিজেপির, জল্পনা তুঙ্গে

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যে নামের সাথে গোটা দেশের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে, যে নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশপ্রেম তার মৃত্যুরহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য আজও উদঘাটিত না হলেও এদিন অর্থাৎ ১৮ আগস্ট সকাল থেকে দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের নেতাদের একের পর এক টুইটে জল্পনা শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই এই কালজয়ী নেতার নানান উক্তি তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে জাতীয় কংগ্রেস এবং বিজেপির নেতাদের তরফ থেকে। আসল লক্ষ্য হলো ‘মৃত্যুদিন’। এই দিনটিকে তারা নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ হিসাবে দেশের সামনে তুলে ধরছেন!

Advertisements

অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে ভারত স্বাধীন হওয়ার ৭৩ বছর পার করলেও এখনো পর্যন্ত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন নিয়ে সুনিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি কোনো সরকারই। এটা অবশ্যই দেশের লজ্জা। আর যেখানে সুনিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি সেখানে এইভাবে মহাপুরুষের মৃত্যুদিন সম্পর্কিত টুইট নিয়ে জল্পনা শুরু হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও আমরা দেখেছিলাম PIB কে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন সম্পর্কিত পোস্ট করতে। যদিও পরে তা বিতর্কের মাঝে পড়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন প্রকাশ করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সন্ধ্যা রায়। এগরা পুরসভার উদ্যোগে তথা স্থানীয় সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের সাংসদ তহবিল কোটায় একাধিক যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরি হয়েছিল ২০১৮ সালে। আর সেখানে এক একটি প্রতীক্ষালয় এক একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রতিকৃতিতে জন্ম ও মৃত্যু তারিখ লেখা হয়েছিল। যেখানেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতিতে ছিল জন্ম ও মৃত্যু তারিখ। যদিও পরে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় এবং তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়।

Advertisements

Advertisements

আর এবার মঙ্গলবার জাতীয় কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইট করে লেখা হলো, “দেশের জাতীয় নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজকের প্রজন্মের কাছে আদর্শ। তাহার প্রয়াণ দিবসে আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।”

তবে শুধু কংগ্রেস নয়, আজকের দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রয়াণ দিবস হিসাবে তুলে ধরেছেন বিজেপির নেতারাও। টুইট করে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক লিখেছেন, “আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা, অদ্বিতীয় যোদ্ধা এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রণী সেনানি নেতাজিকে তাঁর পূণ্য তিথিতে কোটি কোটি প্রণাম।”

প্রসঙ্গত, তাইওয়ানে ১৯৪৫ সালে আজকের দিনে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ তাদের অকাট্য প্ৰমাণ পেশ করতে পারেননি। দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন ওই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মারা যাননি। তিনি কেবল নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।

Advertisements