Panchayet Area Construction rules: এবার পঞ্চায়েত এলাকার নির্মাণ বিধিতেও আসছে পরিবর্তন, পুজোর পরেই লাগু হবে সেই নিয়ম। নতুন নতুন নির্মাণ তৈরির প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সামান্য জমি ফাঁকা থাকলেও সেখানে বিল্ডিং তুলে ব্যবসা চালাচ্ছেন প্রোমোটাররা। শহরাঞ্চলের ফাঁকা জমির পরিমাণ তুলনামূলক অনেকটাই কম। তাই খুব স্বাভাবিকভাবে একটু গ্রাম্য এলাকার দিকে নজর পড়ছে প্রোমোটারদের। বিশেষত শহর লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে (Panchayet Area) ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে বিল্ডিং। কিন্তু সেসব এলাকায় বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে তেমন কোন কঠোর নিয়ম পালন করা হয় না সরকারের পক্ষ থেকে। তাই এবার পঞ্চায়েত এলাকায় বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার।
কথায় বলে আইন যেমন আছে, আইনের ফাঁকও আছে। আর পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে (Panchayet Area Construction rules) এই আইনের ফাঁক বিষয়টার গুরুত্ব অনেকখানি। প্রায় কোন সরকারি নিয়মই মানা হয় না বললেই চলে। আইনের ফাঁক গলে বেআইনিভাবেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিল্ডিং। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। কোথাও বেআইনিভাবে জমি দখল করে বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে, তো কোথাও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা। বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার বা সাধারণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাটা ঘটেই চলেছে প্রতিনিয়ত। আসছে একের পর এক অভিযোগ। তাই এবার পঞ্চায়েত এলাকায় বিল্ডিং তৈরির বিষয়ে কড়াকড়ি নিয়ম আনার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। পুজোর পরেই নতুন নিয়ম চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে (Panchayet Area Construction rules) নির্মাণ সংক্রান্ত সরকারি নিয়মাবলীগুলি যাতে পালন করতে বাধ্য থাকে সকলে সেই চেষ্টাই করছে নবান্ন। ইতিমধ্যে কড়াকড়ি আইনি ব্যবস্থা আনার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকার। শুরু হয়েছে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা। কিছুদিন আগেই পৌরসভার এলাকাগুলির জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল ল চালু করা হয়েছে। ওই একইভাবে শুরু হতে চলেছে পঞ্চায়েতের কাজও। পৌরসভার মতন করেই কাজ হবে পঞ্চায়েত এলাকাতেও। পৌরসভা এলাকায় যতটা কঠোরতার সাথে নিয়ম পালনের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে ততটাই কড়াকড়ি করা হবে পঞ্চায়েত এলাকাতেও।
আরো পড়ুন: বেআইনি নির্মাণ বন্ধে অ্যাপ, কলকাতা পুর নিগমের নয়া পদক্ষেপ
নতুন নিয়মাবলীতে থাকবে একাধিক বিষয়। তবে নিকাশি ব্যবস্থা সংক্রান্ত নিয়মে বিশেষ নজর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও বাড়ির সামনে বা আশপাশের কতটা জায়গা ছাড়া হচ্ছে সেই বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। এছাড়াও জল সংরক্ষণ থেকে সৌর বিদ্যুৎ সবকিছু নিয়েই আসছে একাধিক নিয়ম। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকবে স্থানীয়দের জন্য। পুজোর পর সম্পূর্ণ নিয়মগুলি প্রকাশ করা হবে নবান্নের তরফ থেকে। তখনই এই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত এবং সঠিক তথ্য জানা যাবে। আপাতত বিষয়টি পুরোপুরি অনুমান ও আলোচনা নির্ভর পর্যায়ে রয়েছে।
এখনো পর্যন্ত মনে করা হয় যে পঞ্চায়েত এলাকা (Panchayet Area Construction rules) পৌরসভার থেকে একটু পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু সময় পাল্টেছে পৌরসভার মতনই প্রায় একই রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় পঞ্চায়েত এলাকাতেও। বরঞ্চ সুবিধা পাবার ক্ষেত্রে খরচও যেমন কম হয়, তেমনই বিধি নিষেধের কড়াকড়ি অনেকটাই কম। তাই অনেকেই শহরাঞ্চলের বদলে গ্রামাঞ্চলে থাকতেই পছন্দ করছেন বেশি। আর সেই সুযোগ নিয়েই চলছে বেআইনিভাবে একাধিক নির্মাণ। এগুলি বন্ধ করা প্রয়োজন আর সে কথা চিন্তা করেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পৌরসভার মতন পঞ্চায়েত এলাকাতেও নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়মে কড়াকড়ি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু দু-তিন মাসের। পুজোর পরেই সমস্ত নিয়ম প্রকাশ করবে সরকার। তখনই জানা যাবে পঞ্চায়েত এলাকায় নির্মাণের নিয়মের ক্ষেত্রে ঠিক কি কি পরিবর্তন আনা হলো।