নিজস্ব প্রতিবেদন : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের জনক হলেন ললিত মোদি। এক শহরের সঙ্গে অন্য শহরের ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত লড়াই জমতে পারে তা অন্য কেউ ভেবে উঠতে না পারলেও এই ললিত মোদী ভেবে উঠেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিশ্বের আঙ্গিনায় পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ললিত মোদির বড় ভূমিকা রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তবে তাহলেও এই ললিত মোদির জীবনে কেচ্ছার শেষ নেই। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কলঙ্ক নিয়ে বহুদিন ধরেই তিনি লন্ডন নিবাসী।
সম্প্রতি এই ৫৮ বছর বয়সী বিপত্নীক ললিত মোদী সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে চুটিয়ে ডেট করে। ছোট থেকেই এই ললিত মোদীর পড়াশোনায় তেমন একাগ্রতা ছিল না। তবে তিনি একজন তুখোড় ব্যবসায়ী তা অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
এই ললিত মোদী ১৯৮৫ সালে প্রথম জেল যাত্রা করেন। আমেরিকার ডারহামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগে তাকে জেলে যেতে হয়। এর পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে অন্যের উপর হামলার অভিযোগেও তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। এর পাশাপাশি অপহরণের অভিযোগও উঠেছিল তার বিরুদ্ধে এবং তার জন্য তার দু’বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। যদিও পরে সেই কারাদণ্ডের সময়সীমা কমে যায়।
জেল খাটার পর তিনি ভারতে চলে আসেন এবং পারিবারিক ব্যবসায় মনোযোগ দেন। পারিবারিক বিভিন্ন ব্যবসায়ী নাম ডাক করলেও তার মন পড়েছিল ক্রিকেট জগতের দিকে। এরপর ভারতীয় বোর্ডে একাধিকবার তিনি পা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেই সকল চেষ্টা সাফল্যমণ্ডিত হয় ১৯৯৯ সালে হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর। তবে এই সফলতা সবচেয়ে বেশি আসে ২০০৪ সালে। এরপর ধাপে ধাপে রাজস্থান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এবং বিসিসিআই এর ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তবে এরপর যখন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ব্যাপক জনক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে এবং ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেন ললিত মোদী, সেই সময় তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এই সকল অভিযোগের মধ্যে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ ছিল সবচেয়ে মারাত্মক। এরপর যখন তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট তদন্ত শুরু করে সেই সময় রাতারাতি তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান লন্ডন।