Bangladeshi Flag in Durgapur: বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি সত্যি ভয়ানক, সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের পরিমাণ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে হিন্দুদের ওপর মুসলিমদের অত্যাচার সবকিছুর জন্য বাংলাদেশকে গোটা পৃথিবীর সামনে সমালোচিত হতে হচ্ছে। হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই আচরণের জন্য একজোট হয়েছে সকলেই। এরই মাঝে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক উৎসব যেখানে ঘটলো এই কাণ্ড। আজকের প্রতিবেদনে জানতে পারবেন পুরোটাই বিস্তারিতভাবে।
দুর্গাপুর উৎসবের (Bangladeshi Flag in Durgapur) একটি স্টল ছিল বাংলাদেশীদের। উৎসবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীর দোকানে বিতর্ক শুরু হল বাংলাদেশের পতাকাকে কেন্দ্র করে। দুর্গাপুরে বাংলাদেশের শাড়ির দোকানের স্টলে বিজ্ঞাপনের ফ্লেক্সে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ছবি নিয়ে শোরগোল পড়ল। পরিস্থিতি এমনিতেই উত্তপ্ত তার মধ্যে এই কান্ড রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিল গোটা এলাকাতে। দুর্গাপুর উৎসবে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিস্তারিত খবরটি জানতে গেলে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে যেভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তাতে এই কয়েকদিনের মধ্যেই চর্চায় উঠে এসেছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এই অত্যাচারের প্রতিবাদে একজোট হয়েছে ভারতের অধিকাংশ জনগণ। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে টালমাটাল। তখনই দুর্গাপুর উৎসবের (Bangladeshi Flag in Durgapur) স্টলে বাংলাদেশের শাড়ির দোকানের স্টলের বিজ্ঞাপনের ফ্লেক্সে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ছবি থাকায় বিতর্ক দেখা দেয়।
আরও পড়ুন:India-Bangladesh Update: ভারতের চাল দেশে ঢোকাতে রাজি নয় বাংলাদেশ, কোন দেশের উপর করছে ভরসা
বাংলাদেশীদের এই ধরনের আচরণের জন্য তাদেরকে সমালোচিত হতে হচ্ছে গোটা পৃথিবীর সামনে। ইস্কন সন্ন্যাসীর ওপরেও তাদের যে অত্যাচারের ছবি ফুটে উঠেছে তার রীতিমতো ঘৃণ্য আচরণের উদাহরণ। চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অশান্তিকর পরিবেশ। প্রথমে কোটা আন্দোলন, তারপরে হাসিনার দেশত্যাগ আর এখন বাংলাদেশে চলছে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচার এবং তাদের ধর্মান্তরিত করার প্রবণতা।
এটি হল দুর্গাপুর উৎসবের (Bangladeshi Flag in Durgapur) দ্বিতীয় বছর। এই উৎসবটি শুরু হয়েছে রাজীব গান্ধি স্মারক ময়দানে। যে মাঠে স্টল দিয়েছে বাংলাদেশের শাড়ির দোকানও। দোকানের মালিক অবশ্য দাবি করেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে এই মেলাতে এসেছেন। দুর্গাপুর উৎসব কমিটির সদস্য লক্ষ্মণ ঘোষালের দাবি, এইসব ব্যাপারে তারা কিছুই জানতেন না। যখনই বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে তখনই বাংলাদেশের পতাকা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।