নিজস্ব প্রতিবেদন : আমজনতা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ সঞ্চয়ের জন্য বেছে নেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প। সরকারি প্রকল্প ছাড়াও তার সঞ্চয় করে রাখেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রকল্পে। তবে আপনি যেখানে সঞ্চয় করছেন সেটি আদতে ব্যাঙ্ক তো! কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক লেখা থাকলেও কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্র আদতে ব্যাঙ্কই নয়।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই সতর্কবার্তা দেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমজনতার সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় ভুল জায়গায় নিজেদের আমানত রেখে সেই আমানতের টাকা খাওয়াতে হয় আমজনতাকে। এমন ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে, বর্তমানেও ঘটছে এবং আগামী দিনেও ঘটবে না এমন কেউ বলতে পারে না।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, এই সকল বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে যেমন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক আদতে ব্যাঙ্কই নয়। co-operative আসলে একটি সোসাইটি। কিন্তু তারা তাদের নামের সঙ্গে ব্যাঙ্ক শব্দটি জুড়ে দিয়ে থাকে। সেখানেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই সতর্কতাবাণী দিল।
সতর্কতা বানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইন, ১৯৪৯ এর সংশোধনী অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর থেকে কোনও কোঅপারেটিভ সোসাইটি নিজেদের নামের সঙ্গে ব্যাঙ্ক বা সেই ধরনের কোনও শব্দ জুড়তে পারবে না। কেবলমাত্র যেসব কোঅপারেটিভ আরবিআই দ্বারা অনুমোদিত তারাই ‘ব্যাঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে একটি বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু কোঅপারেটিভ সোসাইটি নিজেদের নামে ‘ব্যাঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহার করছে। বিষয়টি আইন বিরোধী। এছাড়াও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, অনেকেই এই সকল সোসাইটির সদস্য না হয়েও টাকা জমা রাখেন। এটাও কিন্তু আইন বিরুদ্ধ। কোন সোসাইটি এই নিয়মে টাকা জমা রাখতে পারে না।
এছাড়াও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেসকল কো-অপারেটিভ সোসাইটি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা অনুমোদিত নয় তাদের কাছে গচ্ছিত টাকা ডিপোজিট ইনসুরেন্স ও ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের আওতায় পড়বে না। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি এই ধরনের কোন সোসাইটিতে নিজেদের অর্থ সঞ্চয় করে রাখেন এবং হঠাৎ করে লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই আমানতকারী ডিপোজিট ইনসুরেন্স ও ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পাবেন না। এমনকি আমানতকারীদের টাকা ফেরত পাওয়ারও কোনো গ্যারান্টি নেই।