করোনা ঠেকাতে গুটখা, পান মশলা বিক্রি বন্ধের সুপারিশ কেন্দ্রের

Madhab Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গুটখা, পান মশলা, সুপারি ইত্যাদি সেবন করার সাথে সাথে মুখের মধ্যে অতিরিক্ত লালার সৃষ্টি হয়। যে কারণে থুতু ফেলার প্রবণতা বাড়ে। আর যত্রতত্র খোলা জায়গায় থুতু ফেললে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা রয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে সব রাজ্যকে এই জাতীয় দ্রব্য যেমন গুটখা, পান মশলা, সুপারি, খৈনি ইত্যাদি ধোঁয়াহীন তামাকজাত বিক্রি তথা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়া ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতেও কড়া হাতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

যদিও কেন্দ্রের এই সুপারিশের আগেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার বহুবার এই সকল দ্রব্য বিক্রি ও খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু তারপরেও বারংবার দেখা গিয়েছে এই সকল দ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি হতে ও প্রকাশ্যে সেবন করতে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রকাশ্যে ধূমপান করলে ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাধারণ মানুষ এসব জিনিস প্রকাশ্যেই সেবন করে চলেছেন। আর বর্তমান পরিস্থিতি অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের প্রকোপের সময় এইসকল বিষয় বস্তুগুলির দিকে আরও নজর রাখা উচিত বলে সুপারিশ করেছে কেন্দ্র।

অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যসচিবদের মত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবকেও এই বিষয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি ও সেবন বন্ধ করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে রাজ্য বলে উল্লেখ করা হয়। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানার মত বেশ কয়েকটি রাজ্য গুটখা, পান মশলা বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গুজরাট সরকার প্রকাশ্যে থুতু ফেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানে প্রকাশ্যে থুতু ফেললে আর্থিক জরিমানার কথা বলা হয়েছে।

অন্যদিকে লকডাউন চলাকালীন প্রকাশ্যে ধূমপান করতে সচেষ্ট লালবাজার। ইতিমধ্যেই তারা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য থানাগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে কত মামলা রুজু হয়েছে।